সম্পাদনা-আবদুশ শাকুর
পৃষ্ঠা-১১৮
মূল্য-১৫০
বিশ্বসাহিত্য প্রকাশনা
....
বাংলাসাহিত্যের নির্বাচিত রম্যরচনা ও গল্প। বই এর নামেই হাস্যরসের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। বইটাতে মোট বাংলা সাহিত্যের ১৭ জন নক্ষত্র এর ২০ টি গল্প আছে। সব গুলো গল্পই বিষয়বস্তু হলো উজ্জল হাস্য রস।তবে শরৎ চন্দ্র আর বিভূতিভূষন ও আবুল মনসুরের গল্প দুটিতে কিঞ্চিত দুঃখবোধ হতে পারে। যাই হউক কমেডির মধ্যে হালকা দুঃখ বোধ হাসিকে অবশ্যই ম্লান করে না।
কেউ একজন বলেছিল, যেখানে জীবন সেখানেই অসঙ্গতি আবার যেখানে অসঙ্গতি সেখানে হাস্যরস। আবার রবীন্দ্রনাথ তার পাঞ্চভৌতিক সভায় বলেছেন, "অসংগতি তার অল্পে অল্পে চড়াইতে বিস্ময় ক্রমে হাস্যে এবং হাস্য ক্রমে অশ্রুজলে পরিনত হইতে থাকে।
হাস্যরসাশ্রিত সাহিত্যের সৃষ্টি সেই প্রাচীন থেকেই। আর মহৎ বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে তো কৌতুক রস বাংলা সাহিত্যের সর্বোচ্চ শিখর ছু্ঁয়েছে। বঙ্কিমের চেয়ে বয়সে নবীন হলেও কালী প্রসন্নসিংহ কৌতুক সৃষ্টিতে প্রবীণতর। তাঁর রম্য রচনা ভবানীচরণের ঐতিহ্য হলেও ওতে কোন অশালীনতা ছিল না। বঙ্কিমের মননসমৃদ্ধ এবং পরিশীলিত রসিকতায় অনুপ্রানিত হলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
ত্রৈলোক্যনাথের মুখোপাধ্যায় ইন্দ্রনাথের স্বকালের এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। বাংলা রম্যসাহিত্যের একটি মাইল ফলক, নকশা রহস্য ছাড়িয়ে প্রথম খাটি হাসির গল্প লেখক। তাঁর কল্পনাবিলাস আরো নাগরিক হয়ে দেখাদিল পরশুরামের রচনায়। অপরিমেয় কল্পনাশক্তি নিয়ে ঝড়ের মতো বয়ে গেলেন সুকুমার রায়। বাঙালির হাসির বাধ ভেঙে দিয়ে। "রাণুর ঘরোয়া গল্প নিয়ে নির্মল হাসির ডালা সাজালেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়। বঙ্গরসের অসাধারন নজির সৃষ্টি করলেন আবুল মনসুর আহমেদ। হাস্যরসের সার্থক ব্যবহার করে প্রচুর কৌতুক গল্প লিখলেন প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়, প্রমথনাথ বিশী, বনফুল, পরিমল গোস্বামী আরো অনেকেই।
মহত্তম রম্যধারা আদি গুরু যে বঙ্কিম তা তো রবীন্দ্রনাথ বলেই দিয়েছেন। এই বইয়ের শুরু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর হাত ধরে। শেষ হয়েছে তুষার কান্তি ঘোষ এর মাধ্যমে। প্রতিটি গল্পই হাস্যরসে ভরপুর। যদিও কিছু ব্যঙ্গকৌতুক আছে। বাংলা সাহিত্যের উল্ল্যেখ যোগ্য সব কৌতুক প্রিয় লেখকের রচনা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই সমগ্র। প্রতিটি গল্পই অসাধারন। পাঠক এর পেটে খিল লাগানোর মতো কত গুলো সৃষ্টি আছে। আমার মতো সকলেই হয়তো হেসে লুটোপুটি খাবেন। ২০ টি গল্পই অসাধারন।
বইটা আমি এক প্রতিযোগিতায় পেয়েছিলাম। বইটা পড়ার পর মনে হয়েছে আমার পুরস্কার টা সার্থক হয়েছে। সাহিত্যের রম্যসম্ভারে আমি প্রবেশ করতে পেরেছি।
পৃষ্ঠা-১১৮
মূল্য-১৫০
বিশ্বসাহিত্য প্রকাশনা
....
বাংলাসাহিত্যের নির্বাচিত রম্যরচনা ও গল্প। বই এর নামেই হাস্যরসের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। বইটাতে মোট বাংলা সাহিত্যের ১৭ জন নক্ষত্র এর ২০ টি গল্প আছে। সব গুলো গল্পই বিষয়বস্তু হলো উজ্জল হাস্য রস।তবে শরৎ চন্দ্র আর বিভূতিভূষন ও আবুল মনসুরের গল্প দুটিতে কিঞ্চিত দুঃখবোধ হতে পারে। যাই হউক কমেডির মধ্যে হালকা দুঃখ বোধ হাসিকে অবশ্যই ম্লান করে না।
কেউ একজন বলেছিল, যেখানে জীবন সেখানেই অসঙ্গতি আবার যেখানে অসঙ্গতি সেখানে হাস্যরস। আবার রবীন্দ্রনাথ তার পাঞ্চভৌতিক সভায় বলেছেন, "অসংগতি তার অল্পে অল্পে চড়াইতে বিস্ময় ক্রমে হাস্যে এবং হাস্য ক্রমে অশ্রুজলে পরিনত হইতে থাকে।
হাস্যরসাশ্রিত সাহিত্যের সৃষ্টি সেই প্রাচীন থেকেই। আর মহৎ বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে তো কৌতুক রস বাংলা সাহিত্যের সর্বোচ্চ শিখর ছু্ঁয়েছে। বঙ্কিমের চেয়ে বয়সে নবীন হলেও কালী প্রসন্নসিংহ কৌতুক সৃষ্টিতে প্রবীণতর। তাঁর রম্য রচনা ভবানীচরণের ঐতিহ্য হলেও ওতে কোন অশালীনতা ছিল না। বঙ্কিমের মননসমৃদ্ধ এবং পরিশীলিত রসিকতায় অনুপ্রানিত হলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
ত্রৈলোক্যনাথের মুখোপাধ্যায় ইন্দ্রনাথের স্বকালের এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। বাংলা রম্যসাহিত্যের একটি মাইল ফলক, নকশা রহস্য ছাড়িয়ে প্রথম খাটি হাসির গল্প লেখক। তাঁর কল্পনাবিলাস আরো নাগরিক হয়ে দেখাদিল পরশুরামের রচনায়। অপরিমেয় কল্পনাশক্তি নিয়ে ঝড়ের মতো বয়ে গেলেন সুকুমার রায়। বাঙালির হাসির বাধ ভেঙে দিয়ে। "রাণুর ঘরোয়া গল্প নিয়ে নির্মল হাসির ডালা সাজালেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়। বঙ্গরসের অসাধারন নজির সৃষ্টি করলেন আবুল মনসুর আহমেদ। হাস্যরসের সার্থক ব্যবহার করে প্রচুর কৌতুক গল্প লিখলেন প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়, প্রমথনাথ বিশী, বনফুল, পরিমল গোস্বামী আরো অনেকেই।
মহত্তম রম্যধারা আদি গুরু যে বঙ্কিম তা তো রবীন্দ্রনাথ বলেই দিয়েছেন। এই বইয়ের শুরু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর হাত ধরে। শেষ হয়েছে তুষার কান্তি ঘোষ এর মাধ্যমে। প্রতিটি গল্পই হাস্যরসে ভরপুর। যদিও কিছু ব্যঙ্গকৌতুক আছে। বাংলা সাহিত্যের উল্ল্যেখ যোগ্য সব কৌতুক প্রিয় লেখকের রচনা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই সমগ্র। প্রতিটি গল্পই অসাধারন। পাঠক এর পেটে খিল লাগানোর মতো কত গুলো সৃষ্টি আছে। আমার মতো সকলেই হয়তো হেসে লুটোপুটি খাবেন। ২০ টি গল্পই অসাধারন।
বইটা আমি এক প্রতিযোগিতায় পেয়েছিলাম। বইটা পড়ার পর মনে হয়েছে আমার পুরস্কার টা সার্থক হয়েছে। সাহিত্যের রম্যসম্ভারে আমি প্রবেশ করতে পেরেছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন