লেখক-দীনবন্ধু মিত্র
ধরন-নাটক
পৃষ্ঠা-১৩৬
মূল্য-১৮০
শোভা প্রকাশনী।
ধরন-নাটক
পৃষ্ঠা-১৩৬
মূল্য-১৮০
শোভা প্রকাশনী।
দীনবন্ধু মিত্র ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার। বাংলার আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু মিত্র অবশ্য মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্যরচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। এই ধারায় তিনিই হয়ে ওঠেন পরবর্তীকালের নাট্যকারদের আদর্শস্থানীয়।
দীনবন্ধু মিত্রের প্রথম প্রকাশিত নাটক নীলদর্পণ প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে।
রং হিসেবে নীলের ব্যবহার পৃথিবীর সব জায়গায় ছিল। সবচেয়ে ভালো নীল চাষ একমাত্র ভারত উপমহাদেশে হতো। তাই ১৭৭৭ সাল থেকে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে নীলচাষ শুরু হয়। প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসা শুরু করলেও পরে তা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। প্রথমদিকে কৃষকদের তেমন কোন ক্ষতি হতো না। কিন্তু একসময় ইউরোপ বাজারে নীলের দাম কমে যাওয়া কৃষকরা মুজরীর ফাকিতে পরে। এবং কৃষকদের নীলের দাদানে পরে বাধ্য করা হয়। তাতে কৃষকদের জীবন মরন সমস্যা ক্রমশ নীলকরদের অত্যাচার বাড়তে থাকে। একসময় জুলুম শুরু হয়। এতে চাষীরা সংঘবদ্ধ হয় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে কৃষকদের সাথে বুদ্ধিজিবীদের সমর্থন থাকে।প্রথম আন্দোলন হয় খুলনা জেলায় কাদের মোল্লার নেতৃত্বে।
এই সংঘর্ষ দীনবন্ধুকে এই নাটক লিখতে অনুপ্রানিত করে। মূলত বাংলার উপর নীলকরদের যে অত্যাচার তারই পটভূমিতে দীনবন্ধু নীল দর্পণ নাটক রচনা করেন।
এই সংঘর্ষ দীনবন্ধুকে এই নাটক লিখতে অনুপ্রানিত করে। মূলত বাংলার উপর নীলকরদের যে অত্যাচার তারই পটভূমিতে দীনবন্ধু নীল দর্পণ নাটক রচনা করেন।
এই নাটকের কাহিনীও বাঙালিদের উপর নীলকর দের অত্যাচার এর চিত্র।
নাটকে কেন্দ্রীয় না হলেও প্রধান চরিত্র হলো গোলকবসু। তিনি অত্যন্ত নিরীহ এবং ধর্মপরায়ন সৎ কায়স্ত সন্তান।। তার ছেলে নবীনমাধব বিষয়কর্ম দেখাশোনা করে। স্বরপুর গ্রামে নীলকরের ব্যাপক জুলুম শুরু হয়। গোলকবসু পঞ্চাশ বিঘা জমিতে নীলচাষ করে দু পয়সাও পায় না। অতচ এবার নির্দেশ হয় ষাট বিগাতে নীল করতে হবে। প্রতিবেশী সাধুচরনের কন্যা ক্ষেত্রমনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পিতার কাছে আসে। সাধুচরন ও তার ভাই রাইচরন কে নীলের জন্য ধরতে এসে তারা ক্ষেত্রমনিকে দেখে যায়। তাই নীলকর পি পি রোগ পদীময়রানীকে দিয়ে খবর পাঠায় তার কাছে যেতে। কিন্তু ক্ষেত্রমনি না যাওয়ায় লাঠিয়াল এসে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। নবীনমাধব এ কথা শুনে সে পিপি রোগের কাছ থেকে ক্ষেত্রমনিকে রক্ষা করতে ছুটে যায়। তাকে নিয়ে আসলেও ক্ষেত্রমনি মারা যায়। নবীনমাধব এর উপর আক্রোশ করে। নীলকররা তার বাবা গোলকবসুর নামে মামলা করে দেয়। এভাবে তাদের অত্যাচারের চিত্র গুলো এগিয়ে যায়।
নাটকে কেন্দ্রীয় না হলেও প্রধান চরিত্র হলো গোলকবসু। তিনি অত্যন্ত নিরীহ এবং ধর্মপরায়ন সৎ কায়স্ত সন্তান।। তার ছেলে নবীনমাধব বিষয়কর্ম দেখাশোনা করে। স্বরপুর গ্রামে নীলকরের ব্যাপক জুলুম শুরু হয়। গোলকবসু পঞ্চাশ বিঘা জমিতে নীলচাষ করে দু পয়সাও পায় না। অতচ এবার নির্দেশ হয় ষাট বিগাতে নীল করতে হবে। প্রতিবেশী সাধুচরনের কন্যা ক্ষেত্রমনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পিতার কাছে আসে। সাধুচরন ও তার ভাই রাইচরন কে নীলের জন্য ধরতে এসে তারা ক্ষেত্রমনিকে দেখে যায়। তাই নীলকর পি পি রোগ পদীময়রানীকে দিয়ে খবর পাঠায় তার কাছে যেতে। কিন্তু ক্ষেত্রমনি না যাওয়ায় লাঠিয়াল এসে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। নবীনমাধব এ কথা শুনে সে পিপি রোগের কাছ থেকে ক্ষেত্রমনিকে রক্ষা করতে ছুটে যায়। তাকে নিয়ে আসলেও ক্ষেত্রমনি মারা যায়। নবীনমাধব এর উপর আক্রোশ করে। নীলকররা তার বাবা গোলকবসুর নামে মামলা করে দেয়। এভাবে তাদের অত্যাচারের চিত্র গুলো এগিয়ে যায়।
চরিত্রের দিকে গোলকবসু তার দুই পুত্র - নবীনমাধব, বিন্দুমাধব। সাধুচরণ, রাইচরণ দুই ভাই। গোপীনাথ দাস -দেওয়ান । আই আই উড, পি পি রোগ নীলকর। এছাড়া আমিন খালাসী, তাইদগীর, ম্যাজিস্ট্রেট, আমলা, মোক্তার অন্যান্য পুরুষ চরিত্র।
সাবিত্রী-গোলকবসুর স্ত্রী, সৈরিন্ধ্রী-নবীনের স্ত্রী, সরলতা-বিন্দুমাধবের স্ত্রী, রেবতী-সাধুচরনের স্ত্রী, আদুরী -গোলকবসুর দাসী,ক্ষেত্রমনী-সাধুচরনের মেয়ে।
সাবিত্রী-গোলকবসুর স্ত্রী, সৈরিন্ধ্রী-নবীনের স্ত্রী, সরলতা-বিন্দুমাধবের স্ত্রী, রেবতী-সাধুচরনের স্ত্রী, আদুরী -গোলকবসুর দাসী,ক্ষেত্রমনী-সাধুচরনের মেয়ে।
নীল চাষ কে কেন্দ্র করে গোলক বসুর পরিবারের উপর দিয়ে যাওয়া অশুভ ছায়া এই নাটকের কাহিনী। নীলকর দের অত্যাচারের চিত্র গুলো নাট্যকার এদের উপর অঙ্কিত করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন