লেখক-হুমায়ূন আহমেদ
ধরন-উপন্যাস
পৃষ্ঠা-১৩৬
মূল্য-৮০
আফসার ব্রাদার্স
....
বহুব্রীহি হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম একটি হাসির উপন্যাস।লেখক নিজেই বলেছেন এই নামে তিনি একটা মজার উপন্যাস লিখবার চেষ্টা করেছেন। পাঠক হিসেবে আমি বলব, এতে তিনি সফল হয়েছেন। এখানে কিছু অন্যধরনের কথা হাসি তামশার মাঝে আছে। কিন্তু কথার নিজস্ব উজ্জলতায় কথা গুলো হাসি তামশার মাঝেও পাঠকের চোখে ধরা পরবে। তা ছাড়া পুরো কাহিনী টা হাস্যরসে ভরপুর।
উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একটা বাড়ির সকল সদস্যদের নিয়ে। তারা সকলেই ভিন্ন প্রকৃতির। কারো সাথে কারো আচরনের কোন মিল নেই। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর হলো উকালতি থেকে রিটায়ার্ড করেছেন। উনার স্ত্রী মিনু। আর তাদের দুই মেয়ে। বড়টা বরিশাল মেডিকেলে পড়ে, নাম বিলু । ছোটটা অনার্স করছে ইকোনমিক্সে, নাম মিলি।আছে দুজন কাজের লোক, রহিমার মা ও কাদের। এছাড়া আরেকজন হল ফরিদ, তিনি মিলির মামা। কোনও কাজ না করে সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার ইচ্ছা। আরেকটা ইচ্ছা আছে তা হলো সিনেমা বানানো। সোবহান সাহেব বাড়ির নাম দিয়েছেন "নিরিবিলি"। কিন্ত কোন একটা কাহিনীতে এটা "নিবিরিলি" হয়ে গেছে।
এ বাসার ভাড়াটে হল আনিস। আনিসের স্ত্রী মারা গেছেন।
তাদের দুই ছেলে-মেয়ে টগর ও নিশা। এদের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট।হেন কোন শয়তানী নাই, যা তারা করে না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন, তাই আনিস ঘটনাক্রমে সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়।আর একটা চরিত্র হলো মনসুর। ডাক্তারি পাশ করে এখন গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একদিন ঘটনাক্রমে মিলি এই ফার্মেসিতে এসেছিলো। সেই থেকে তাদের জানাশোনা। হঠাৎ একদিন সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে "খোন্দকার এমদাদ সাহেব" আসেন। সাথে তার নাতনী পুতুল। তিনি চান পুতুল কে মনসুর ডাক্তারের সাথে বিয়ে দিতে।
সব গুলো চরিত্র নিয়ে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে।এবং কাহিনী গুলো পাঠককে আনন্দ দেবে এটা নিশ্চিত। কিছুটা দেশপ্রম ভাব আছে। অসাধারন একটা বই! এমনকি বইয়ের
প্রতিটা লাইন মজার। যে পড়েনি সে বড় কিছু মিস করছে। সব থেকে বড় ব্যাপার যেটা তাহলো, স্যার এর লেখায় অন্যরকম একটা বই এই "বহুব্রীহি" যেখানে মন খারাপের কোনও চিহ্ন নেই। চরিত্রের দিকে মিলি, বিলু দুই বোন অসাধারন। এমন কি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি। বোন দুটোকেই ভালো লেগেছে। আনিসের ছেলে মেয়ে টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলোও বেশ মজার। বাচ্চা বয়েসের কৌতুহল সবটাই লেখক এদের মাঝে ঢেলে সাজিয়েছেন। সব মিলে বই টা অসাধারন! ভালো লাগাতে বা কিছুক্ষন হাসতে বই টা পাঠকের জন্য।
ধরন-উপন্যাস
পৃষ্ঠা-১৩৬
মূল্য-৮০
আফসার ব্রাদার্স
....
বহুব্রীহি হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম একটি হাসির উপন্যাস।লেখক নিজেই বলেছেন এই নামে তিনি একটা মজার উপন্যাস লিখবার চেষ্টা করেছেন। পাঠক হিসেবে আমি বলব, এতে তিনি সফল হয়েছেন। এখানে কিছু অন্যধরনের কথা হাসি তামশার মাঝে আছে। কিন্তু কথার নিজস্ব উজ্জলতায় কথা গুলো হাসি তামশার মাঝেও পাঠকের চোখে ধরা পরবে। তা ছাড়া পুরো কাহিনী টা হাস্যরসে ভরপুর।
উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একটা বাড়ির সকল সদস্যদের নিয়ে। তারা সকলেই ভিন্ন প্রকৃতির। কারো সাথে কারো আচরনের কোন মিল নেই। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর হলো উকালতি থেকে রিটায়ার্ড করেছেন। উনার স্ত্রী মিনু। আর তাদের দুই মেয়ে। বড়টা বরিশাল মেডিকেলে পড়ে, নাম বিলু । ছোটটা অনার্স করছে ইকোনমিক্সে, নাম মিলি।আছে দুজন কাজের লোক, রহিমার মা ও কাদের। এছাড়া আরেকজন হল ফরিদ, তিনি মিলির মামা। কোনও কাজ না করে সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার ইচ্ছা। আরেকটা ইচ্ছা আছে তা হলো সিনেমা বানানো। সোবহান সাহেব বাড়ির নাম দিয়েছেন "নিরিবিলি"। কিন্ত কোন একটা কাহিনীতে এটা "নিবিরিলি" হয়ে গেছে।
এ বাসার ভাড়াটে হল আনিস। আনিসের স্ত্রী মারা গেছেন।
তাদের দুই ছেলে-মেয়ে টগর ও নিশা। এদের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট।হেন কোন শয়তানী নাই, যা তারা করে না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন, তাই আনিস ঘটনাক্রমে সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়।আর একটা চরিত্র হলো মনসুর। ডাক্তারি পাশ করে এখন গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একদিন ঘটনাক্রমে মিলি এই ফার্মেসিতে এসেছিলো। সেই থেকে তাদের জানাশোনা। হঠাৎ একদিন সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে "খোন্দকার এমদাদ সাহেব" আসেন। সাথে তার নাতনী পুতুল। তিনি চান পুতুল কে মনসুর ডাক্তারের সাথে বিয়ে দিতে।
সব গুলো চরিত্র নিয়ে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে।এবং কাহিনী গুলো পাঠককে আনন্দ দেবে এটা নিশ্চিত। কিছুটা দেশপ্রম ভাব আছে। অসাধারন একটা বই! এমনকি বইয়ের
প্রতিটা লাইন মজার। যে পড়েনি সে বড় কিছু মিস করছে। সব থেকে বড় ব্যাপার যেটা তাহলো, স্যার এর লেখায় অন্যরকম একটা বই এই "বহুব্রীহি" যেখানে মন খারাপের কোনও চিহ্ন নেই। চরিত্রের দিকে মিলি, বিলু দুই বোন অসাধারন। এমন কি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি। বোন দুটোকেই ভালো লেগেছে। আনিসের ছেলে মেয়ে টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলোও বেশ মজার। বাচ্চা বয়েসের কৌতুহল সবটাই লেখক এদের মাঝে ঢেলে সাজিয়েছেন। সব মিলে বই টা অসাধারন! ভালো লাগাতে বা কিছুক্ষন হাসতে বই টা পাঠকের জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন