লেখক- মোশতাক আহমেদ
ধরন-সায়েন্স ফিকশন
পৃষ্ঠা-১১২
মূল্য-১৭৫
অনিন্দ্য প্রকাশনা
....
ইক্স "ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি" ইউনিভার্সিটির "রোবটিক সায়েন্স" ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক। ১৯বছর পড়াশোনা শেষ করে ২৭ বছর বয়সে সে রোবট তৈরির বিষয়ে অন্যতম জ্ঞানী ব্যক্তি। কিন্তু সে ক্লাস নেয় সপ্তাহে মাত্র একদিন। কেন না ইক্স এর মতো কুৎসিত, পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর একটি নেই। তাই কর্তৃপক্ষ তেমন চায় না, সে কলেজে বেশী সময় থাকুক। আবার তাকে কতৃপক্ষ বাদ ও দিতে পারছে না। কারন সে অনেক মেধাবী। তার কুৎসিত হওয়ার পিছনেও একটা গল্প আছে।
তাছাড়া অনেকের এর ধারনা, ইক্স প্রথম বায়োরোবট তৈরি করবে। এমন কি এর মধ্যে সে এই ফর্মুলার অনেক কাজ সম্পাদন করে ফেলেছে। ইক্স ভালবাসে সুন্দরী পিহিনাকে। এক সময় তারা ক্লাস মেট ছিল। এখন দুজনেই সহকর্মী। একদিন ভার্সিটিতে আসার কারন টা মূলত পিহিনা কে এক নজর দেখতে পাওয়া। কিন্তু ইক্স বুঝতে পারে, তার এই চেহারা নিয়ে সে কারো কাছে গ্রহন যোগ্যতা পাবে না। তবুও সে পিহিনা কে আশা করে। এমন কি তার জন্য সে তার এই বায়োবোট এর মত অর্জন টাকেও সে পিহিনার হাতে তুলে দিতে রাজি। কলেজে পড়া কালীন সময় পিহিনা ইক্স কে সময় দিতো। কিন্তু এখন সে বদলে গেছে অনেকটাই।
বায়োরোবট নামটা এসেছে, বায়োলজির প্রথম অংশ বায়ো যার অর্থ জীবন এবং রোবট এর অংশ বোট থেকে। এই দুটো মিলে বায়োরোবট। যার বুদ্ধিমান মাত্রা থাকবে সাড়ে নয়, যা কিনা মানুষের প্রায় সমান। ইক্স তার রোবট এর নাম দিয়েছে "নিওক্স"। এই কাজ পিহিনাও করতে চেয়েছে কিন্তু ইক্স জানে পিহিনা এটা পারবে না, কারন সে ভূল ফর্মূলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে কোন দিন বায়োবোট তৈরি করা সম্ভব নয়।
"বায়োবোট নিওক্স" মোশতাক আহমেদ এর অন্যতম সায়েন্স ফিকশন। একে সায়েন্স ফিকশন এর সাথে এটা একটা ভালবাসার উপন্যাস বলা যেতে পারে। কিন্তু ততটা না হলেও এটা একটা সায়েন্স ফিকশন। ইক্স চেয়েছে এমন একটা কিছু সৃষ্টি করতে যা তার সন্মাননা বয়ে আনবে। এবং বিশ্ব জুড়ে হয়ে উঠবে সে বিখ্যত বিজ্ঞানী।
কিন্তু কাহিনী শেষ পর্যন্ত, কোথায় গিয়ে থেমেছিল তা শুধু পাঠক ই জানবেন। বিজ্ঞান এর অজানা কিছু নেই, আর অসাধ্য ও কিছু নেই।কাহিনীর অনেক টা জায়গা জুড়ে ডাক্তার ইয়ান হাস এর কৃতিত্ব আছে। আর বায়োরোবট ই বা কতো টা উন্নতি বয়ে এনেছিলো পৃথিবীর জন্য! তাও পাঠক জানতে পারবেন। সায়েন্স ফিকশন এর ভক্ত নই আমি। কিন্তু বিজ্ঞানের খুটিনাটি বিষয়ে আগ্রহ বেশ। আর সে দিক থেকে প্রায় লেখক দের সায়েন্স ফিকশন জাতীয় বই গুলো ছেকে দেখতে বেশ ভালো লাগে ।
মোশতাক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ফার্মাসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এম ফার্ম ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং ইংল্যান্ডের লেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ক্রিমিনোলোজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে আগ্রহী হলেও গোয়েন্দা ও ভৌতিক ক্ষেত্রেও যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। সেই সাথে "জকি" তার জীবনধর্মী আর বহুলপ্রশংসিত একটি উপন্যাস। তিনি হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতিতেও একটা বই রচনা করেছেন।
ধরন-সায়েন্স ফিকশন
পৃষ্ঠা-১১২
মূল্য-১৭৫
অনিন্দ্য প্রকাশনা
....
ইক্স "ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি" ইউনিভার্সিটির "রোবটিক সায়েন্স" ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক। ১৯বছর পড়াশোনা শেষ করে ২৭ বছর বয়সে সে রোবট তৈরির বিষয়ে অন্যতম জ্ঞানী ব্যক্তি। কিন্তু সে ক্লাস নেয় সপ্তাহে মাত্র একদিন। কেন না ইক্স এর মতো কুৎসিত, পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর একটি নেই। তাই কর্তৃপক্ষ তেমন চায় না, সে কলেজে বেশী সময় থাকুক। আবার তাকে কতৃপক্ষ বাদ ও দিতে পারছে না। কারন সে অনেক মেধাবী। তার কুৎসিত হওয়ার পিছনেও একটা গল্প আছে।
তাছাড়া অনেকের এর ধারনা, ইক্স প্রথম বায়োরোবট তৈরি করবে। এমন কি এর মধ্যে সে এই ফর্মুলার অনেক কাজ সম্পাদন করে ফেলেছে। ইক্স ভালবাসে সুন্দরী পিহিনাকে। এক সময় তারা ক্লাস মেট ছিল। এখন দুজনেই সহকর্মী। একদিন ভার্সিটিতে আসার কারন টা মূলত পিহিনা কে এক নজর দেখতে পাওয়া। কিন্তু ইক্স বুঝতে পারে, তার এই চেহারা নিয়ে সে কারো কাছে গ্রহন যোগ্যতা পাবে না। তবুও সে পিহিনা কে আশা করে। এমন কি তার জন্য সে তার এই বায়োবোট এর মত অর্জন টাকেও সে পিহিনার হাতে তুলে দিতে রাজি। কলেজে পড়া কালীন সময় পিহিনা ইক্স কে সময় দিতো। কিন্তু এখন সে বদলে গেছে অনেকটাই।
বায়োরোবট নামটা এসেছে, বায়োলজির প্রথম অংশ বায়ো যার অর্থ জীবন এবং রোবট এর অংশ বোট থেকে। এই দুটো মিলে বায়োরোবট। যার বুদ্ধিমান মাত্রা থাকবে সাড়ে নয়, যা কিনা মানুষের প্রায় সমান। ইক্স তার রোবট এর নাম দিয়েছে "নিওক্স"। এই কাজ পিহিনাও করতে চেয়েছে কিন্তু ইক্স জানে পিহিনা এটা পারবে না, কারন সে ভূল ফর্মূলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে কোন দিন বায়োবোট তৈরি করা সম্ভব নয়।
"বায়োবোট নিওক্স" মোশতাক আহমেদ এর অন্যতম সায়েন্স ফিকশন। একে সায়েন্স ফিকশন এর সাথে এটা একটা ভালবাসার উপন্যাস বলা যেতে পারে। কিন্তু ততটা না হলেও এটা একটা সায়েন্স ফিকশন। ইক্স চেয়েছে এমন একটা কিছু সৃষ্টি করতে যা তার সন্মাননা বয়ে আনবে। এবং বিশ্ব জুড়ে হয়ে উঠবে সে বিখ্যত বিজ্ঞানী।
কিন্তু কাহিনী শেষ পর্যন্ত, কোথায় গিয়ে থেমেছিল তা শুধু পাঠক ই জানবেন। বিজ্ঞান এর অজানা কিছু নেই, আর অসাধ্য ও কিছু নেই।কাহিনীর অনেক টা জায়গা জুড়ে ডাক্তার ইয়ান হাস এর কৃতিত্ব আছে। আর বায়োরোবট ই বা কতো টা উন্নতি বয়ে এনেছিলো পৃথিবীর জন্য! তাও পাঠক জানতে পারবেন। সায়েন্স ফিকশন এর ভক্ত নই আমি। কিন্তু বিজ্ঞানের খুটিনাটি বিষয়ে আগ্রহ বেশ। আর সে দিক থেকে প্রায় লেখক দের সায়েন্স ফিকশন জাতীয় বই গুলো ছেকে দেখতে বেশ ভালো লাগে ।
মোশতাক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ফার্মাসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এম ফার্ম ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং ইংল্যান্ডের লেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ক্রিমিনোলোজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে আগ্রহী হলেও গোয়েন্দা ও ভৌতিক ক্ষেত্রেও যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। সেই সাথে "জকি" তার জীবনধর্মী আর বহুলপ্রশংসিত একটি উপন্যাস। তিনি হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতিতেও একটা বই রচনা করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন