লেখক-হুমায়ূন আহমেদ
ধরন-উপন্যাস
পৃষ্ঠা-৯৬
মূল্য-১৬০
অন্বেষা প্রকাশনী
....
ভোর বেলায় মানুষের মেজাজ ভালো থাকে। বেলা বাড়তে বাড়তে মেজাজ ও খারাপ হতে থাকে। মিসির আলীরও একি অবস্থা। তবে তার মেজাজ টা বেশি খারাপ। অবশ্য তারও একটা কারন আছে। তা হলো একটা অপরিচিত মেয়ে। সে নিজের নাম বলেছে সায়রা বানু। বাক্স পেটরা নিয়ে চলে এসেছে মিসির আলীর বাসায় থাকবে বলে। এতে তিনি আশ্চর্য ও বিরক্ত! আর একটা কারন হচ্ছে মেয়েটা নিজের ইচ্ছা মতো শুধু কথা বলেই যাচ্ছে।
এতে মিসির আলীর মতামতের কোন দরকর মনে করছে না। মিসির আলী বুঝতে পারছেন মেয়েটা অনবরত মিথ্যা বলে যাচ্ছে। এমন কি একটু পর এটাও বুঝতে পারলেন মেয়েটার নাম সায়রা বানু না। তখন সে বলল তার নাম চিত্রা। মিসির আলী মেয়েটাকে বাসা থেকে বেড়িয়ে যেতে বললেন। মেয়েটি চলে গেল। কিন্তু সে তার জিনিস পত্র ফেলে রেখে গেল। মিসির আলী ভাবলেন হয়তো সে ফিরে আসবে।
কিন্তু ১০ দিন চলে গেলেও মেয়েটি ফিরে আসেনি। যাওয়ার আগে সে একটা ফোন নাম্বার দিয়ে গিয়েছিল। মিসির আলী সে কাগজ খুলে দেখলেন তাতে কোন নাম্বার লেখার বদলে লেখা Help me! তিনি কিছু টা অবাক হলেন, হয়তো সে খুব বিপদে পরেই তার কাছে এসেছিলো। কিন্তু তিনি তাড়িয়ে দিলেন। এগুলো ভেবেই খারাপ লাগল। মেয়টার সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় কিনা, সে আশায় মেয়েটার সুটকেস খুললেন। সব কিছু ঘেটে তিনি এক গাদা কাগজ পেলেন। সেটা যে মিসির আলীকে উদ্দেশ্য করে লেখা, তা তিনি বুঝতে পারলেন।
"মিসির আলী" হুমায়ুন আহমেদ এর একজন সৃষ্ট চরিত্র। যিনি লজিক এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করেন।তিনি প্রকৃতির রহস্যময়তায় বিস্মিত হয়েও প্রচন্ড যুক্তির বলে বিশ্বাস করেন না। মিসির আলীর বই গুলো রহস্যময়তায় ভরপুর। কিন্তু তা কোন গোয়েন্দা বা থ্রিলার নয়। ব্যক্তি জীবনের মানসিক ও জাগতিক বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তি নির্ভর রহস্য দ্বারা আবৃত। তার মতে এমন কোন রহস্য নেই যা যুক্তির মাধ্যমে সমাধান হয় না। তিনি যুক্তি ও বিজ্ঞান দিয়ে সকল রহস্যের কিনারায় চলে যান।প্যারাসাইকোলজির সকল স্তরে তিনি বিচরন করেন।
মিসির আলী সম্পর্কিত বই গুলোতে মূলত এইরকম কিছু কাহিনী বা ঘটনা থাকে।সে দিক থেকে এই তন্দ্রাবিলাস ও একি রকম। এই বইয়ে সায়েরা বানু, চিত্রা বা ফারজানা যাই বলুন না কেন। মেয়েটির সমস্যার জন্যই মিসির আলীর স্মরনাপন্ন হয়। কি উপায়ে এই সমস্যার সমাধান হয়েছিলো তা পাঠক বইয়ে জানাতে পারবেন।
মিসির আলী সব সময়ই আমার পছন্দের। রহস্যময় আলো আধারের রোগাক্রান্ত লোকটাকে সব সময়ই ভালো লাগে।
অন্যান্য রহস্য গুলোর মতো এটাও যতেষ্ট কৌতুহলের। হঠাৎ করে একটা মানুষের আসা, এবং নাটকীয় ভঙ্গিতে চিঠি দিয়ে যাওয়া। এসব কান্ড সকল পাঠককে কৌতুহলী করে তুলবে খুব সহজেই। বইয়ের ভিতরে প্রবেশ করে পাঠকও মিসির আলীর সাথে রহস্য ডুবে যাবেন। যেমনটা আমি হই আর কি। তাছাড়া মিসির আলী যেখানে আছেন, চমক তো সেখানে অপেক্ষা করছেই।
ধরন-উপন্যাস
পৃষ্ঠা-৯৬
মূল্য-১৬০
অন্বেষা প্রকাশনী
....
ভোর বেলায় মানুষের মেজাজ ভালো থাকে। বেলা বাড়তে বাড়তে মেজাজ ও খারাপ হতে থাকে। মিসির আলীরও একি অবস্থা। তবে তার মেজাজ টা বেশি খারাপ। অবশ্য তারও একটা কারন আছে। তা হলো একটা অপরিচিত মেয়ে। সে নিজের নাম বলেছে সায়রা বানু। বাক্স পেটরা নিয়ে চলে এসেছে মিসির আলীর বাসায় থাকবে বলে। এতে তিনি আশ্চর্য ও বিরক্ত! আর একটা কারন হচ্ছে মেয়েটা নিজের ইচ্ছা মতো শুধু কথা বলেই যাচ্ছে।
এতে মিসির আলীর মতামতের কোন দরকর মনে করছে না। মিসির আলী বুঝতে পারছেন মেয়েটা অনবরত মিথ্যা বলে যাচ্ছে। এমন কি একটু পর এটাও বুঝতে পারলেন মেয়েটার নাম সায়রা বানু না। তখন সে বলল তার নাম চিত্রা। মিসির আলী মেয়েটাকে বাসা থেকে বেড়িয়ে যেতে বললেন। মেয়েটি চলে গেল। কিন্তু সে তার জিনিস পত্র ফেলে রেখে গেল। মিসির আলী ভাবলেন হয়তো সে ফিরে আসবে।
কিন্তু ১০ দিন চলে গেলেও মেয়েটি ফিরে আসেনি। যাওয়ার আগে সে একটা ফোন নাম্বার দিয়ে গিয়েছিল। মিসির আলী সে কাগজ খুলে দেখলেন তাতে কোন নাম্বার লেখার বদলে লেখা Help me! তিনি কিছু টা অবাক হলেন, হয়তো সে খুব বিপদে পরেই তার কাছে এসেছিলো। কিন্তু তিনি তাড়িয়ে দিলেন। এগুলো ভেবেই খারাপ লাগল। মেয়টার সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় কিনা, সে আশায় মেয়েটার সুটকেস খুললেন। সব কিছু ঘেটে তিনি এক গাদা কাগজ পেলেন। সেটা যে মিসির আলীকে উদ্দেশ্য করে লেখা, তা তিনি বুঝতে পারলেন।
"মিসির আলী" হুমায়ুন আহমেদ এর একজন সৃষ্ট চরিত্র। যিনি লজিক এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করেন।তিনি প্রকৃতির রহস্যময়তায় বিস্মিত হয়েও প্রচন্ড যুক্তির বলে বিশ্বাস করেন না। মিসির আলীর বই গুলো রহস্যময়তায় ভরপুর। কিন্তু তা কোন গোয়েন্দা বা থ্রিলার নয়। ব্যক্তি জীবনের মানসিক ও জাগতিক বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তি নির্ভর রহস্য দ্বারা আবৃত। তার মতে এমন কোন রহস্য নেই যা যুক্তির মাধ্যমে সমাধান হয় না। তিনি যুক্তি ও বিজ্ঞান দিয়ে সকল রহস্যের কিনারায় চলে যান।প্যারাসাইকোলজির সকল স্তরে তিনি বিচরন করেন।
মিসির আলী সম্পর্কিত বই গুলোতে মূলত এইরকম কিছু কাহিনী বা ঘটনা থাকে।সে দিক থেকে এই তন্দ্রাবিলাস ও একি রকম। এই বইয়ে সায়েরা বানু, চিত্রা বা ফারজানা যাই বলুন না কেন। মেয়েটির সমস্যার জন্যই মিসির আলীর স্মরনাপন্ন হয়। কি উপায়ে এই সমস্যার সমাধান হয়েছিলো তা পাঠক বইয়ে জানাতে পারবেন।
মিসির আলী সব সময়ই আমার পছন্দের। রহস্যময় আলো আধারের রোগাক্রান্ত লোকটাকে সব সময়ই ভালো লাগে।
অন্যান্য রহস্য গুলোর মতো এটাও যতেষ্ট কৌতুহলের। হঠাৎ করে একটা মানুষের আসা, এবং নাটকীয় ভঙ্গিতে চিঠি দিয়ে যাওয়া। এসব কান্ড সকল পাঠককে কৌতুহলী করে তুলবে খুব সহজেই। বইয়ের ভিতরে প্রবেশ করে পাঠকও মিসির আলীর সাথে রহস্য ডুবে যাবেন। যেমনটা আমি হই আর কি। তাছাড়া মিসির আলী যেখানে আছেন, চমক তো সেখানে অপেক্ষা করছেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন