লেখক-হুমায়ূন আহমেদ
ধরন-গল্প সংকলন
পৃষ্ঠা-১২০
মূল্য-১৬০
অন্বেষা প্রকাশনা
.....
কথা হচ্ছে আপনারা কি কেউ ভূত বিশ্বাস করেন? লেখক করেন না। আমিও করি না। আমি বাসার ছাদে পুরো রাত হেটে কাটিয়ে দিছি এমন রেকর্ড অনেক আছে। রাতের ২ টা বা ৩ টা নাই আমি ছাদে। কিন্তু কখনো ভয় পাইনি।অন্য কোন ছাদে বা আশে পাশে চোখের ভুলে কিছু দেখলে, যতক্ষন না ভালো করে বুঝবো এটা কি ততক্ষন তাকিয়ে থাকতাম। জিনিসটা বুঝে ফেলার পর আর কিছু সমস্যা হতো না। তবে কোন দিন যদি ভয়ের গল্প শুনতাম, বা আম্মুর কাছে জাহান্নামের শাস্তি আর কবরের শাস্তি শুনতাম তখন বাইরে গেলে খারাপ লাগতো।
লেখক এই বই টা আমার মতো কিঞ্চিত ভয় পায় এমন একজন কে উৎসর্গ করেছেন।আমার আব্বু যখন মারা যায়, তখন খুব খারাপ লাগতো বলে আমি রাতে বাসার বাইরে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম। মনে মনে খুব চাইতাম আব্বু যাতে সামনে আসে। আমাদের বাসার পেছন দিকে একটা তেতুল গাছ আছে। কিন্তু কোন দিনও আমি অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি। কেউ দেখেছে তাও শুনিনি। তাই আমার দৃষ্টিতেও ভূত বলে কিছু নেই। তবে আমি আর কতোটুকু জানি!
ছায়াসঙ্গী, নাম টাতে কেমন একটা গা চমচম করা ব্যাপার। বই টা কি ভৌতিক কিছু! নাহ একেবারেই না। তবে এমন কিছু যা স্বাভাবিক নয়। লেখক বলেছেন, " আসলে গল্প গুলো ঠিক ভূতের নয়-অন্যরকম অভিজ্ঞতার গল্প। যে অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই আছে এবং যা চট করে ব্যাখ্যা করা যায় না"
ছায়াসঙ্গী বইটা কিছু গল্পের সংকলন। এই বইয়ে মোট ৯ টি গল্প আছে। প্রথম টা, নামগল্প ছায়াসঙ্গী - এটা লেখক এর দেশের বাড়ির কাহিনী। তিনি অনেক দিন পর বাড়ি গেলেন বউ ও বাচ্চাদের নিয়ে। সেখানে এক ছেলের সাথে দেখা হল। নাম মান্তাজ মিয়া। কাহিনী টা ছিলো এই ছেলেটার।
শবযাত্রা- এই গল্পে বলা হয়েছে পঞ্চাশ পাঁচপঞ্চাশ বয়সী একটা লোকের কাহিনী। যিনি পদার্থবিদ্যা শখ করে শিখেন এমন কি তার জন্য তিনি শিক্ষকও রেখেছেন। ভদ্রলোকের পরিচয় লেখক এভাবে দিয়েছেন, " তিনি নিতান্ত অপরিচিত লোক কে শীতল গলায় বলে দিতে পারেন -ভাই কিছু মনে করবেন না আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি একজন মহামূর্খ" এই অসাধারন চরিত্র টা ছিল এই গল্পে কাহিনীটির বক্তা।
ওইজা বোর্ড-এটা একটা পরিবারের গল্প। নাসরিন তার ভাইয়ের থেকে উপহার পেয়েছিল, এই ওইজা বোর্ড। এটা নিয়েই কাহিনী।
সে- এই গল্প কথক ছিল এক জন ডাক্তার। তাঁর নাম হাসনা বানু। এই মহিলা ডাক্তার এর সাথে পরিচয় লেখক এর মেয়ের মাধ্যমে।
দ্বিতীয় জন- এক বিবাহিত দম্পতিদের কাহিনী এটা।
বেয়ারিং চিঠি -জমির সাহেব ও তার পরিবারের কাহিনী। বীণার অসুখ- বীণার বয়স একুশ। হঠাৎ তার মামা তাকে কলেজে যেতে নিষেধ করেছেন। সে জানে না কেন। এ গল্পের কাহিনী টা বীণার।
কুকুর- এই গল্পের বক্তা আলিমুজ্জামান। পোস্টাল সার্ভিসে ছিলেন, তিন বছর হলো রিটায়ার করছেন। তাঁর সাথে লেখক এর পরিচয় হয় চা দোকানে। আর সে সুবাধে তিনি লেখক এর বাড়ি আসেন।
ভয় - এই গল্পের স্থান ছিলো অজপাড়া গাঁ যেখানে, লেখক পরীক্ষার ডিউটি দিতে গেছিলেন।
গল্প গুলো পড়ার সময় একটা অন্যরকম অনুভূতি হবে পাঠকের। যদিও লেখক বিশ্বাস করেন ব্যাখ্যার অতীত কিছু নেই। কিন্তু এই বিষয় গুলোর তিনি কোন ব্যাখ্যা পান নি। তিনি এই বইয়ে কিছু অন্ধকার জগতের কথা তুলে ধরেছেন। যার বেশির ভাগ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার গল্প। আর কিছু প্রিয়জনদের গল্প। লেখকের মতে এটা স্বীকার করে নেওয়া ভালো -"আজকের বিজ্ঞান যা ব্যাখ্যা করতে পারে নি আগামীদিনের বিজ্ঞান তা পারবে।" কিন্তু কিছু রহস্য তো থেকেই যায় প্রকৃতিতে।
ধরন-গল্প সংকলন
পৃষ্ঠা-১২০
মূল্য-১৬০
অন্বেষা প্রকাশনা
.....
কথা হচ্ছে আপনারা কি কেউ ভূত বিশ্বাস করেন? লেখক করেন না। আমিও করি না। আমি বাসার ছাদে পুরো রাত হেটে কাটিয়ে দিছি এমন রেকর্ড অনেক আছে। রাতের ২ টা বা ৩ টা নাই আমি ছাদে। কিন্তু কখনো ভয় পাইনি।অন্য কোন ছাদে বা আশে পাশে চোখের ভুলে কিছু দেখলে, যতক্ষন না ভালো করে বুঝবো এটা কি ততক্ষন তাকিয়ে থাকতাম। জিনিসটা বুঝে ফেলার পর আর কিছু সমস্যা হতো না। তবে কোন দিন যদি ভয়ের গল্প শুনতাম, বা আম্মুর কাছে জাহান্নামের শাস্তি আর কবরের শাস্তি শুনতাম তখন বাইরে গেলে খারাপ লাগতো।
লেখক এই বই টা আমার মতো কিঞ্চিত ভয় পায় এমন একজন কে উৎসর্গ করেছেন।আমার আব্বু যখন মারা যায়, তখন খুব খারাপ লাগতো বলে আমি রাতে বাসার বাইরে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম। মনে মনে খুব চাইতাম আব্বু যাতে সামনে আসে। আমাদের বাসার পেছন দিকে একটা তেতুল গাছ আছে। কিন্তু কোন দিনও আমি অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি। কেউ দেখেছে তাও শুনিনি। তাই আমার দৃষ্টিতেও ভূত বলে কিছু নেই। তবে আমি আর কতোটুকু জানি!
ছায়াসঙ্গী, নাম টাতে কেমন একটা গা চমচম করা ব্যাপার। বই টা কি ভৌতিক কিছু! নাহ একেবারেই না। তবে এমন কিছু যা স্বাভাবিক নয়। লেখক বলেছেন, " আসলে গল্প গুলো ঠিক ভূতের নয়-অন্যরকম অভিজ্ঞতার গল্প। যে অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই আছে এবং যা চট করে ব্যাখ্যা করা যায় না"
ছায়াসঙ্গী বইটা কিছু গল্পের সংকলন। এই বইয়ে মোট ৯ টি গল্প আছে। প্রথম টা, নামগল্প ছায়াসঙ্গী - এটা লেখক এর দেশের বাড়ির কাহিনী। তিনি অনেক দিন পর বাড়ি গেলেন বউ ও বাচ্চাদের নিয়ে। সেখানে এক ছেলের সাথে দেখা হল। নাম মান্তাজ মিয়া। কাহিনী টা ছিলো এই ছেলেটার।
শবযাত্রা- এই গল্পে বলা হয়েছে পঞ্চাশ পাঁচপঞ্চাশ বয়সী একটা লোকের কাহিনী। যিনি পদার্থবিদ্যা শখ করে শিখেন এমন কি তার জন্য তিনি শিক্ষকও রেখেছেন। ভদ্রলোকের পরিচয় লেখক এভাবে দিয়েছেন, " তিনি নিতান্ত অপরিচিত লোক কে শীতল গলায় বলে দিতে পারেন -ভাই কিছু মনে করবেন না আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি একজন মহামূর্খ" এই অসাধারন চরিত্র টা ছিল এই গল্পে কাহিনীটির বক্তা।
ওইজা বোর্ড-এটা একটা পরিবারের গল্প। নাসরিন তার ভাইয়ের থেকে উপহার পেয়েছিল, এই ওইজা বোর্ড। এটা নিয়েই কাহিনী।
সে- এই গল্প কথক ছিল এক জন ডাক্তার। তাঁর নাম হাসনা বানু। এই মহিলা ডাক্তার এর সাথে পরিচয় লেখক এর মেয়ের মাধ্যমে।
দ্বিতীয় জন- এক বিবাহিত দম্পতিদের কাহিনী এটা।
বেয়ারিং চিঠি -জমির সাহেব ও তার পরিবারের কাহিনী। বীণার অসুখ- বীণার বয়স একুশ। হঠাৎ তার মামা তাকে কলেজে যেতে নিষেধ করেছেন। সে জানে না কেন। এ গল্পের কাহিনী টা বীণার।
কুকুর- এই গল্পের বক্তা আলিমুজ্জামান। পোস্টাল সার্ভিসে ছিলেন, তিন বছর হলো রিটায়ার করছেন। তাঁর সাথে লেখক এর পরিচয় হয় চা দোকানে। আর সে সুবাধে তিনি লেখক এর বাড়ি আসেন।
ভয় - এই গল্পের স্থান ছিলো অজপাড়া গাঁ যেখানে, লেখক পরীক্ষার ডিউটি দিতে গেছিলেন।
গল্প গুলো পড়ার সময় একটা অন্যরকম অনুভূতি হবে পাঠকের। যদিও লেখক বিশ্বাস করেন ব্যাখ্যার অতীত কিছু নেই। কিন্তু এই বিষয় গুলোর তিনি কোন ব্যাখ্যা পান নি। তিনি এই বইয়ে কিছু অন্ধকার জগতের কথা তুলে ধরেছেন। যার বেশির ভাগ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার গল্প। আর কিছু প্রিয়জনদের গল্প। লেখকের মতে এটা স্বীকার করে নেওয়া ভালো -"আজকের বিজ্ঞান যা ব্যাখ্যা করতে পারে নি আগামীদিনের বিজ্ঞান তা পারবে।" কিন্তু কিছু রহস্য তো থেকেই যায় প্রকৃতিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন