লেখক-ইমদাদুল হক মিলন
ধরন-কিশোর থ্রিলার
পৃষ্ঠা-৮০
মূল্য-১২০
অনন্যা প্রকাশনী
....
ছেলেটার নাম সায়েদুল হক। ডাক নাম খোকন। সে ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুলে সেভেনে পড়ে। তার গোয়েন্দা হবার শখ। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা তার প্রিয় চরিত্র। ফেলুদার কাহিনী পড়তে পড়তে সে মুগ্ধ। আমার মতো তারও বাবা নেই। আর একটা ব্যপারে মিল আছে তাহলো আমার ভাইয়ের মতো তার ভাই তাকে গল্পের বই পড়া শিখেয়েছিল। পড়ার বইয়ের ফাকে ফাকে গল্পের বই পড়ে আর ফেলুদা হওয়ার স্বপ্ন দেখে খোকন। গোয়েন্দা হতে হলে অনেক কিছু জানতে হবে। আর তাই সে অনেক চর্চা করে। নিজের মন থেকে ভয় সরাতে চেষ্টা করে। রাত জেগে থাকে।
তার একটা কুকুর আছে তার নাম জিমি। মাঝে মাঝে তার ফেলুদা হতে ভীষণ ইচ্ছা করে তখন তার মাথায় আসে, তার যে রিভলবার নেই। কিন্তু সে হতাশ হয় না। তার কুকুর জিমি ঘেউ করলে রিভলবার এর মতো শব্দ হয়। কুকুরটা তার সব কথা শুনে। এই সব ভেবে ভেবে ফেলুদার বই গুলোর দিকে তাকিয়ে সে রাতে ঘুমাতে যায়। বই গুলোর ভেতর ফেলুদা আছে। ঘুমানোর আগে সে ফেলুদাকেকে গুড নাইট বলে।
মে মাসের ১২ তারিখ তার স্কুল বন্ধ হয়। গ্রীষ্মের ছুটি। খোকন ভেবেছে সে তার নানাবাড়ি বেড়াতে যাবে।তার খালাত ভাই ডাবলু তাকে নিয়ে যায়।সাথে যায় তাদের বাড়ির কাজের ছেলে বারেক। যাওয়ার সময় গোয়েন্দাগিরির যন্ত্রপাতি আর সত্যজিৎরায়ের বই নিতে ভুলে না। তারা যাবে বিক্রমপুর। ঢাকা থেকে লঞ্চে। এতকিছুর মধ্যে খোকন জিমির কথা ভুলে গেল। যাওয়ার সময় জিমি তো মোটেও খোকনের পিছু ছাড়ল না। শেষে অনেক ঝামেলা করে তাকেও সাথে নেওয়া হল। নানু বাড়িতে এসে খোকনের তো আদর বেড়ে গেল।বেশ ভালই কাটতে লাগল খোকনের সময়।
বিকালে বাইরে যাওয়ার সময় তার নানী তাকে ডেকে বলল জানোয়ার দেখা গেছে, ও পাড়ার তিনজনকে সেদিন মেরেছে। শুনে রক্ত হিম হয়ে যায় খোকনের। কিন্তু কিছু পরেই সে নিজেকে ফেলুদা ভাবে। সে একজন গোয়েন্দা হবে, তার কি এভাবে ভয় পেলে চলে নাকি। সে এ সম্পর্কে খোজ নিল।তার মাথা ভরতি ভাবনা। পর দিন আবার শোনা যায় একই কথা। সব শুনে নানী তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠাতে চাচ্ছেন। কিন্তু খোকন এর মনে অন্য কিছু সে ভাবছে। দেখা উচিৎ এটা বাঘ না ভাল্লুক। ডাবলুদা প্রথমে রাজি হয় না। পরে বারেক এর উৎসাহে ডাবলু রাজি হয়ে যায়।
খোকনের তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে কেন না জীবনে প্রথমবার সে আসল গোয়েন্দাদের মতো কাজ করবে। সেই সাথে শুরু হয় তাদের গোয়েন্দা গিরি।
রহস্যের কিনারা খোকন কিভাবে করলো সেটা তো মারাত্মক ইতিহাস। বহু ঝামেলা উৎরিয়ে খোকন রহস্যের ধারে পৌছেছিলো বলা যায়। কিশোর দের জন্য টান টান উত্তেজনা । এক বার শিকার সামনে আসে তো দশ বার পিছিয়ে যায়। সেই আবার সবশক্তি দিয়ে শিকারের উপর ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছিলো গোয়েন্দাদের। রহস্য তো আর যেই সেই না। এটা ছিলো চিতা রহস্য!
গেলো তো এত কিছু, পুরো বই পড়ে উপসংহারে এসে লেখা গুলো পড়ে খোকনের মতো আমিও ফাটা বেলুন হয়ে গিয়ছিলাম। কেন তা শুধু মাত্র পাঠক কূল জানার অধিকার রাখেন। বেশ উপভোগ করেছিলাম পুরোটা সময়। বিশেষ করে জিমিকে মনে থাকবে।
রেটিং৪
ধরন-কিশোর থ্রিলার
পৃষ্ঠা-৮০
মূল্য-১২০
অনন্যা প্রকাশনী
....
ছেলেটার নাম সায়েদুল হক। ডাক নাম খোকন। সে ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুলে সেভেনে পড়ে। তার গোয়েন্দা হবার শখ। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা তার প্রিয় চরিত্র। ফেলুদার কাহিনী পড়তে পড়তে সে মুগ্ধ। আমার মতো তারও বাবা নেই। আর একটা ব্যপারে মিল আছে তাহলো আমার ভাইয়ের মতো তার ভাই তাকে গল্পের বই পড়া শিখেয়েছিল। পড়ার বইয়ের ফাকে ফাকে গল্পের বই পড়ে আর ফেলুদা হওয়ার স্বপ্ন দেখে খোকন। গোয়েন্দা হতে হলে অনেক কিছু জানতে হবে। আর তাই সে অনেক চর্চা করে। নিজের মন থেকে ভয় সরাতে চেষ্টা করে। রাত জেগে থাকে।
তার একটা কুকুর আছে তার নাম জিমি। মাঝে মাঝে তার ফেলুদা হতে ভীষণ ইচ্ছা করে তখন তার মাথায় আসে, তার যে রিভলবার নেই। কিন্তু সে হতাশ হয় না। তার কুকুর জিমি ঘেউ করলে রিভলবার এর মতো শব্দ হয়। কুকুরটা তার সব কথা শুনে। এই সব ভেবে ভেবে ফেলুদার বই গুলোর দিকে তাকিয়ে সে রাতে ঘুমাতে যায়। বই গুলোর ভেতর ফেলুদা আছে। ঘুমানোর আগে সে ফেলুদাকেকে গুড নাইট বলে।
মে মাসের ১২ তারিখ তার স্কুল বন্ধ হয়। গ্রীষ্মের ছুটি। খোকন ভেবেছে সে তার নানাবাড়ি বেড়াতে যাবে।তার খালাত ভাই ডাবলু তাকে নিয়ে যায়।সাথে যায় তাদের বাড়ির কাজের ছেলে বারেক। যাওয়ার সময় গোয়েন্দাগিরির যন্ত্রপাতি আর সত্যজিৎরায়ের বই নিতে ভুলে না। তারা যাবে বিক্রমপুর। ঢাকা থেকে লঞ্চে। এতকিছুর মধ্যে খোকন জিমির কথা ভুলে গেল। যাওয়ার সময় জিমি তো মোটেও খোকনের পিছু ছাড়ল না। শেষে অনেক ঝামেলা করে তাকেও সাথে নেওয়া হল। নানু বাড়িতে এসে খোকনের তো আদর বেড়ে গেল।বেশ ভালই কাটতে লাগল খোকনের সময়।
বিকালে বাইরে যাওয়ার সময় তার নানী তাকে ডেকে বলল জানোয়ার দেখা গেছে, ও পাড়ার তিনজনকে সেদিন মেরেছে। শুনে রক্ত হিম হয়ে যায় খোকনের। কিন্তু কিছু পরেই সে নিজেকে ফেলুদা ভাবে। সে একজন গোয়েন্দা হবে, তার কি এভাবে ভয় পেলে চলে নাকি। সে এ সম্পর্কে খোজ নিল।তার মাথা ভরতি ভাবনা। পর দিন আবার শোনা যায় একই কথা। সব শুনে নানী তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠাতে চাচ্ছেন। কিন্তু খোকন এর মনে অন্য কিছু সে ভাবছে। দেখা উচিৎ এটা বাঘ না ভাল্লুক। ডাবলুদা প্রথমে রাজি হয় না। পরে বারেক এর উৎসাহে ডাবলু রাজি হয়ে যায়।
খোকনের তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে কেন না জীবনে প্রথমবার সে আসল গোয়েন্দাদের মতো কাজ করবে। সেই সাথে শুরু হয় তাদের গোয়েন্দা গিরি।
রহস্যের কিনারা খোকন কিভাবে করলো সেটা তো মারাত্মক ইতিহাস। বহু ঝামেলা উৎরিয়ে খোকন রহস্যের ধারে পৌছেছিলো বলা যায়। কিশোর দের জন্য টান টান উত্তেজনা । এক বার শিকার সামনে আসে তো দশ বার পিছিয়ে যায়। সেই আবার সবশক্তি দিয়ে শিকারের উপর ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছিলো গোয়েন্দাদের। রহস্য তো আর যেই সেই না। এটা ছিলো চিতা রহস্য!
গেলো তো এত কিছু, পুরো বই পড়ে উপসংহারে এসে লেখা গুলো পড়ে খোকনের মতো আমিও ফাটা বেলুন হয়ে গিয়ছিলাম। কেন তা শুধু মাত্র পাঠক কূল জানার অধিকার রাখেন। বেশ উপভোগ করেছিলাম পুরোটা সময়। বিশেষ করে জিমিকে মনে থাকবে।
রেটিং৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন