শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

বই-শয়তান চিলিকের আত্মা

লেখক-মোশতাক আহমেদ
ধরন-ভৌতিক উপন্যাস
পৃষ্ঠা-৯৬
মূল্য-১৫০
অনিন্দ্য প্রকাশ

সময়টা উনিশ শতকের শুরুর দিকে ১৮১০-১৮২০ সালের  মধ্যের।   একটা ক্ষতবিক্ষত যুবকের দিকে সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।খুব বাজে অত্যাচার করা হয়েছে যুবকটাকে। ভিড়ের মধ্যে এক বৃদ্ধলোক জানতে চাইলো একে কেউ চিনে কিনা? সবাই না বলল। উপুর করা ছিলো।  বৃদ্ধের কথায় চিত করলো এবং দেখা গেল তার চোখ পিট পিট করছে। মারা যায়নি বলে বৃদ্ধ জানতে চাইলো কি হইছে তোমার..? কে করলো এমন? যুবক টি বহু কষ্টে কিছু কথা বলে বড় নিশ্বাস নিলো।  লোকটা বুঝতে পারলো,  সে মারা গেছে। সে যা বলছিল তার মানে হলো ওই জঙ্গলে এক শয়তান আছে সে এই কাজ করছে।

নীলপুর গ্রাম সহ আশেপাশে বিশাল এলাকার জমিদার হলেন শংকর রায়।সবাই তাকে জমিদার বাবু বলে ডাকে। হাকিম মাতাব্বর নাকি শয়তান বাবাকে দেখছে তিনি জানতে চাইলেন কেমন দেখলো..? বিশাল বর্ননা দিলো হাকিম মাতাব্বর। 
জমিদারদের  এক জল্লাদ কে কবর দেওয়া হয়েছিলো জঙ্গলের ভিতরে। হাকিম মাতাব্বর সেখানে দেখে আসছে শয়তান বাবাকে। হাকিম মিয়া চলে গেলে জমিদার ভাবতে থাকলেন অনেক কিছু। 
পর দিন শয়তান বাবাকে ধরে আনল জমিদারদের লোকেরা।  বয়স পয়ত্রিশ ছয়ত্রিশ হবে। সামনের দুটি দাত নেই,  শরীলের কালো কাপড় অনেক জায়গায় ছিড়া। মুখে কাটা দাগ।  মুখের পাশ থেকে রক্ত পড়ছে।  

আরো খবর পাওয়া গেলো এই লোকটা নাকি গ্রাম থেকে হারিয়ে যাওয়া ২ টি ছেলে মেয়ে কে খুন করেছে।
জমিদার তার নাম জানতে চাইলে, সে বলল তার নাম শয়তান বাবা।  অনেক ধমেকর পর সে যা বলল তাহল,  তার নাম সোলায়মান। সে শয়তান বাবা চিলিকের  আদেশে মানুষ হত্যা করে। তাই জমিদার তাকে হত্যার আদেশ দিলো।   কিন্তু এতে সে হুঙ্কার ছাড়ল এতে জমিদার ভয় পেলেও চুপ থাকলেন। তিনি আবার বললেন তোকে মারা হবে। এটাই তোর প্রাপ্য শাস্তি।

সোলায়মান চিৎকার করে বলল , তুই এরকম করিস না তাহলে তুই নির্বংশ হবি।  তোরা ভালো থাক আমাকে ছেড়ে দে আমি অন্য জায়গায় চলে যাব।  অন্য জায়গায় গিয়ে শয়তানের সাধনা করবে।জমিদার বললেন এর মানে তুই  আবার মানুষ খুন করবি? তখন সে চিৎকার করে বলল হ্যাঁ করব। কথা শেষ করেই সে সোজা এগিয়ে গেল রশিদের কাছে।  গিয়ে তার হাত কামড়ে দিলো ।  একাজ করার পর তাকে আর বাচিয়ে রাখার সাহস হলো না কারো তাই। জমিদার এর আদেশে  শরীল থেকে মাথাটা আলাদা করে দিল। কিন্তু লোকটি মরে যেতেই ,  যে ছেলেটির হাতে সে কামড়ে দিয়েছিলো সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল।
তার পরে কি হলো  সেই নীল পুর গ্রামে....

গল্পে অন্যান্য চরিত্র হলো,  জমিদার স্ত্রী মাধবী, রেবা, হরি জল্লাদ, হারুন চৌকিদার,   লালু ফকির।

শয়তান সাধক চিলিকের আত্মা,  নাম শুনেই ভয় লাগে। মোশতাক আহমেদের  একটি ভৌতিক উপন্যাস।  বেশ ভালো মাপের ভয়ের ভৌতিক উপন্যাস। এটা বলছি কারন লেখক ভয়ের কিছু কাহিনী খুব ভয়ংকর ভাবে তুলে ধরেছেন। ভৌতিক কাহিনী ভয়ের হবে এটাই স্বাভাবিক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন