শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

বই-ফটকু মামা ও কয়েকজন দুষ্টু ছেলে

লেখক-মোস্তফা কামাল
ধরন-কিশোর উপন্যাস
পৃষ্ঠ-৭০
মূল্য-১০০
সময় প্রকাশনা
...
রাশেদ হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো তার  মামার কাছে।  কারন তাদের পাশের  বাসার আমিনুল হক  আত্নাহত্যা করেছেন। রাশেদ এর কথা শুনে ফটকু মামার চোখ কপালে উঠার দশা। কেন না,  তিনি  আমিনুল হক কে চিনেন।  আত্নহত্যা করার কোন কারন নেই লোকটির। তিনি অসম্ভব সুখী মানুষ।  অসম্ভব জলি মাইন্ডেরও।  তিনি রাশেদ,  জনি, মাহীন ও মুহীতদের বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। একবার গরমের ছুটিতে তারা একসাথে বেড়াতেও গিয়েছিল।  

রাশেদ বুঝতে পারছিল তার মামা এটা নিয়ে ভাবছে। একটু পর মামা বললেন,  চল দেখে আসি। আমিনুল হক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।  তিনি অবসর নিয়েছেন কিছু দিন হলো। তার তিন ছেলেমেয়ে সকলি বাইরে থাকে।  স্ত্রী মারা গেছেন কিছু দিন হলো।

আমিনুল হকের লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। তিনি নিজে আত্নহত্যা করেছেন।  নাকি কেউ হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়েছে এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত না।  লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হল। 

কিন্তু রাশেদ এবং তার মামা বুঝতে পারল এটা একটা হত্যা। কিন্তু আত্নহত্যা বলেই চালাতে হল।  কারন গোয়েন্দা,  পুলিশ কেউ মাসের পর মাস অনুসন্ধান করে কিছুই পেল না। তারা এটা  কিভাবে বুঝলো তাও একটা রহস্য। কিন্তু তারা জানলো না কে হত্যা করেছে। ফটকু মামা এর আগেও অনেক রহস্যের সমাধান করেছেন। এবারের মিশনেও তিনি তার ভাগ্নে ও বন্ধুদের নিয়ে এগিয়ে গেলেন। 

আর এই ভয়ংকর মিশনে প্রতি নিয়ত  পার হতে হয়েছিলো অনেকগুলো কঠিন সময়।  শেষ পর্যন্ত এই দুষ্ট ছেলে দল গুলো কি কিছু করতে পারল কিনা,  তা পাঠক ই জানেন।

গল্পটা কিশোর উপন্যাস।  কিশোর এর গন্ডি ঠিক পার হয়েগেছি বলা যায়।  কিন্তু সরল আনন্দ গুলো পেতে এরা আমাকে এখনো খুব সহায়তা করে।  বইটা আমার পছন্দের গুলোর মধ্যে একটা।  আর ফটকু মামা তো আমার একজন পছন্দের  চরিত্র।  তিনি তার আপন ভাগ্নে দীপুকে সাথে নিয়ে অনেক রহস্যের কিনারা করেছেন।  যার সাক্ষী আমি নিজে। 

দেশের অন্যতম কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল। তিনি দৈনিক কালের কন্ঠ -এ নিয়মিত,  সময়ের প্রতিধ্বনি ও রঙ্গব্যঙ্গ দুটি কলাম লিখছেন।বর্তমানে তিনি কালের কন্ঠের উপ-সম্পাদক। প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প,  উপন্যাস,  সায়েন্স ফিকশন,  টিভি নাটক ছাড়াও শিশু কিশোর দের জন্য নিয়মিত লিখছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন