লেখক -হুমায়ুন আহমেদ
ধরন-উপন্যাস
পৃষ্ঠা-৮০
মূল্য-১৫০
অন্যপ্রকাশ
হুমায়ূন আহমেদ, বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ।
নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তাঁর সৃষ্ট হিমু এবং মিসির আলি ও শুভ্র চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও তাঁর সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত। ধরা হয় বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জনপ্রিয়তা তিনি শুরু করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন।লেখালিখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে তিনি অধ্যপনা ছেড়ে দেন।
হিমুর আছে জল, হিমু সিরিজের অন্যতম। যার প্রথম প্রকাশ ২০১১।
কানের কাছে কেউ বলছো হিমু চোখ মেল..
কিন্তু হিমু চোখ খুলতে পারল না। অনেক কসরৎ করে চোখের পাতা টেনে টেনে খুলল।সে এক দোতালা লঞ্চের ডেকে। কিন্তু বুঝতে পারল না তাকে কে ডাকল। এক বৃদ্ধকে বসে থাকতে দেখা গেল। সে হিমুর গায়ে চাদর দিয়ে দিয়েছিলো।
সেও ডাকতে পারে কি জানি। ঘুম ভেঙেই সে বৃদ্ধার কাছে দুই টাকা চেয়ে বসল। লোকটা হতবাক। তিনি তো আর জানেন না আমাদের হিমুর যে পকেট নেই। তার কাছে টাকা থাকবে কেমনে। তার যেহেতু এখন চা পিপাসা পাইছে, টাকা তো ম্যানেজ করতেই হবে। হিমু তাকে জানাল আপনি যেভাবে আমাকে চাদর দিতে পেরেছেন তেমনি চা খাওয়ার টাকাটাও দিতে হবে। এর পর রাতের খাবার এর বিলটাও আপনাকে দিতে হবে। বৃদ্ধ হতাশ হয়ে তাকিয়ে থাকল। হিমু তো টাকা নিয়ে রাজার হালো বেড়িয়ে গেলো। তার কথা মতো, মানুষ খাল কেটে কুমির আনে আর বৃদ্ধ চাদর বিছিয়ে বাঘ আনছে।
হিমু এখন চা খাচ্ছে আর খাবার এর লিস্ট দেখছে।সেই সাথে দোকান ও মালিকটাকেও। চায়ে চুমুক দিয়ে সে আবিস্কার করল এতে কর্পূর এর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। চায়ে কেন কর্পূরের গন্ধ পাওয়া যায় জানেন..? না জানলে হিমুর থেকে জেনে নিবেন। সে তার পাশে বসা শুকুরকে কাহিনী টা বলল। শুকুর তখন প্রাইভেট ভিডিও দেখায় ব্যস্ত। হিমু তো তাকে বলেই বসল , শুকুর ভাই কি জিনিস দেখছেন, আমাকে দেখাবেন?
শেষ পর্যন্ত কি দেখেছিলো হিমু সেগুলো!!
হিমু হাতকড়া একটা লোককে দেখল। কোমড়ে দড়ি বাধা। মাওলানা ভাসানী টাইপ। তার কাছাকাছি সাব ইন্সপেকটর একজনের শার্টের পকেটে লেখা নাম জাকির হোসেন। কেউ তার কাছে যাচ্ছে না হিমু গেল বীরদর্পে। গিয়ে খুব নরম গলায় বলল, জাকির ভাই আপনার কি কিছু লাগবে যেমন চা বা সিগেরেট?
কিন্তু জাকির হোসেন তার এই বিনীতের কোন ধার ধরলেন। হিমু তার সাথে খেজুরে আলাপ শুরু করলো। আরে বাহ আমি তো রিভিউ লিখছিলাম, আপনি কি ভেবেছেন পুড়ো গল্প এখানে লিখে ফেলব নাকি!! পুরো টা জানতে হলে বইটা পড়ে ফেলুন গিয়ে।
তবে আরো কিছু টুইস্ট দিয়ে দেয়,
হাতকড়া লোকটা বরিশাল সেন্ট্রাল জেলে যাবে। তার পর লোকটার একটা জ্বিন আছে। এই গল্পে একটা মেয়ে আছে। তার সাথে হিমুর কথা হবে। সে কিন্তু রূপা না অন্য কেউ। থাকুক সব কথা বইয়ের পাতায়।
হিমু কে যারা চিনে সবাই জানে সে শুধু হাটে আর হাটে। সারা ক্ষন মাটির উপর রাখে তার পা দুটো। লেখক তার পায়ের নিচের মাটি কেড়ে নিলো। দেখা যাক সে এবার কি করে । তার কি কোন পরিবর্তন হবে। হলে কি সেটা ভয়ংকর নাকি স্বাভাবিক! ভাবছেন..?
আরও একটা বিশাল ব্যপার হিমুর সাথে যে মেয়েটা সে কিন্তু হিমুর মতোই। প্রায় একই রকম মানুষদের কি মিল হয়..? এবার কি তাদের জুটি হবে..? নাকি লঞ্চ ডুবিতে নদীগর্ভে বিলিন হবে..?
কি জানি... জানি না। নাহ জানি, কিন্তু রিভিউ এ এতো কিছু বলা যাবে না। জানতে চাইলে হিমুগিরি টা আবার দেখুন।
ধরন-উপন্যাস
পৃষ্ঠা-৮০
মূল্য-১৫০
অন্যপ্রকাশ
হুমায়ূন আহমেদ, বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ।
নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তাঁর সৃষ্ট হিমু এবং মিসির আলি ও শুভ্র চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও তাঁর সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত। ধরা হয় বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জনপ্রিয়তা তিনি শুরু করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন।লেখালিখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে তিনি অধ্যপনা ছেড়ে দেন।
হিমুর আছে জল, হিমু সিরিজের অন্যতম। যার প্রথম প্রকাশ ২০১১।
কানের কাছে কেউ বলছো হিমু চোখ মেল..
কিন্তু হিমু চোখ খুলতে পারল না। অনেক কসরৎ করে চোখের পাতা টেনে টেনে খুলল।সে এক দোতালা লঞ্চের ডেকে। কিন্তু বুঝতে পারল না তাকে কে ডাকল। এক বৃদ্ধকে বসে থাকতে দেখা গেল। সে হিমুর গায়ে চাদর দিয়ে দিয়েছিলো।
সেও ডাকতে পারে কি জানি। ঘুম ভেঙেই সে বৃদ্ধার কাছে দুই টাকা চেয়ে বসল। লোকটা হতবাক। তিনি তো আর জানেন না আমাদের হিমুর যে পকেট নেই। তার কাছে টাকা থাকবে কেমনে। তার যেহেতু এখন চা পিপাসা পাইছে, টাকা তো ম্যানেজ করতেই হবে। হিমু তাকে জানাল আপনি যেভাবে আমাকে চাদর দিতে পেরেছেন তেমনি চা খাওয়ার টাকাটাও দিতে হবে। এর পর রাতের খাবার এর বিলটাও আপনাকে দিতে হবে। বৃদ্ধ হতাশ হয়ে তাকিয়ে থাকল। হিমু তো টাকা নিয়ে রাজার হালো বেড়িয়ে গেলো। তার কথা মতো, মানুষ খাল কেটে কুমির আনে আর বৃদ্ধ চাদর বিছিয়ে বাঘ আনছে।
হিমু এখন চা খাচ্ছে আর খাবার এর লিস্ট দেখছে।সেই সাথে দোকান ও মালিকটাকেও। চায়ে চুমুক দিয়ে সে আবিস্কার করল এতে কর্পূর এর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। চায়ে কেন কর্পূরের গন্ধ পাওয়া যায় জানেন..? না জানলে হিমুর থেকে জেনে নিবেন। সে তার পাশে বসা শুকুরকে কাহিনী টা বলল। শুকুর তখন প্রাইভেট ভিডিও দেখায় ব্যস্ত। হিমু তো তাকে বলেই বসল , শুকুর ভাই কি জিনিস দেখছেন, আমাকে দেখাবেন?
শেষ পর্যন্ত কি দেখেছিলো হিমু সেগুলো!!
হিমু হাতকড়া একটা লোককে দেখল। কোমড়ে দড়ি বাধা। মাওলানা ভাসানী টাইপ। তার কাছাকাছি সাব ইন্সপেকটর একজনের শার্টের পকেটে লেখা নাম জাকির হোসেন। কেউ তার কাছে যাচ্ছে না হিমু গেল বীরদর্পে। গিয়ে খুব নরম গলায় বলল, জাকির ভাই আপনার কি কিছু লাগবে যেমন চা বা সিগেরেট?
কিন্তু জাকির হোসেন তার এই বিনীতের কোন ধার ধরলেন। হিমু তার সাথে খেজুরে আলাপ শুরু করলো। আরে বাহ আমি তো রিভিউ লিখছিলাম, আপনি কি ভেবেছেন পুড়ো গল্প এখানে লিখে ফেলব নাকি!! পুরো টা জানতে হলে বইটা পড়ে ফেলুন গিয়ে।
তবে আরো কিছু টুইস্ট দিয়ে দেয়,
হাতকড়া লোকটা বরিশাল সেন্ট্রাল জেলে যাবে। তার পর লোকটার একটা জ্বিন আছে। এই গল্পে একটা মেয়ে আছে। তার সাথে হিমুর কথা হবে। সে কিন্তু রূপা না অন্য কেউ। থাকুক সব কথা বইয়ের পাতায়।
হিমু কে যারা চিনে সবাই জানে সে শুধু হাটে আর হাটে। সারা ক্ষন মাটির উপর রাখে তার পা দুটো। লেখক তার পায়ের নিচের মাটি কেড়ে নিলো। দেখা যাক সে এবার কি করে । তার কি কোন পরিবর্তন হবে। হলে কি সেটা ভয়ংকর নাকি স্বাভাবিক! ভাবছেন..?
আরও একটা বিশাল ব্যপার হিমুর সাথে যে মেয়েটা সে কিন্তু হিমুর মতোই। প্রায় একই রকম মানুষদের কি মিল হয়..? এবার কি তাদের জুটি হবে..? নাকি লঞ্চ ডুবিতে নদীগর্ভে বিলিন হবে..?
কি জানি... জানি না। নাহ জানি, কিন্তু রিভিউ এ এতো কিছু বলা যাবে না। জানতে চাইলে হিমুগিরি টা আবার দেখুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন