লেখক-আহসান হাবীব
ধরন-সমগ্র
পৃষ্ঠা-২৪০
মূল্য-২৮০
রোদেলা প্রকাশনী।
ধরন-সমগ্র
পৃষ্ঠা-২৪০
মূল্য-২৮০
রোদেলা প্রকাশনী।
অন্যেকউ উপন্যাস এর সাথে লেখক আরও চারটা উপন্যাস যোগ করা হয়েছে। লেখক এর অনুমতি নিয়েই প্রকাশক এর নাম দিয়েছেন অন্য কেউ।এ বইয়ের প্রথম গল্পের নাম হল "অন্য কেউ"।
বাচ্চাটার বয়স কতো হবে.? সাত আট। টিংটিঙে শরীর। খালি গা একটা ইলাস্কিট লাগানো রং উঠা পেন্ট। ইলাস্টিকটা ঢিলে হয়ে যাওয়া পেন্টটা নিচে নেমে যাচ্ছে। আর সে টেনে টেনে তুলছে। মাথা ভরতি অযত্নে লালচে কোকড়ানো চুল। সে গোবিন্দপুরের ডিবিটার উপর দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তখন আশেপাশের সবাই অবাক হয়ে তাকায়। একে অন্যে আলাপ করে, কি করে এই ছেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে?....
বদি মাস্টার বলে, সে একদিন অনেক বড় দার্শনিক হবে। তিনি ভাবেন ছেলেটাকে স্কুলে ভর্তি কারাতে পারলে ভাল হতো কিন্তু হেড স্যার নিতে চান না। লোকটা বদ। বদি মাস্টার তাকে দেখতে পারেন না। তবুও বদি মাস্টার কিছু ভাবে।
সে সালু নামে ছেলেটাকে ডাক দেয়। ঢিবি থেকে লাফ দিয়ে নেমে মাস্টার এর সামনে এসে দাড়ায়। তাকে প্রশ্ন করেন, অ, আ এর বই টা পড়ছে কিনা। সালু জানায়, রাতে তার ঘরে বাতি থাকে না কি করে পড়বে..? আর দিনে কত কাজ! এক লোকে প্রশ্ন করে "তুই আকাশের দিকে তাকিয়ে কি দেখছ?" সালু বলে কত কিছু! তার এভঙ্গিতে কথা বলা শুনে সবাই হেসে উঠে।
বদি মাস্টার বলে, সে একদিন অনেক বড় দার্শনিক হবে। তিনি ভাবেন ছেলেটাকে স্কুলে ভর্তি কারাতে পারলে ভাল হতো কিন্তু হেড স্যার নিতে চান না। লোকটা বদ। বদি মাস্টার তাকে দেখতে পারেন না। তবুও বদি মাস্টার কিছু ভাবে।
সে সালু নামে ছেলেটাকে ডাক দেয়। ঢিবি থেকে লাফ দিয়ে নেমে মাস্টার এর সামনে এসে দাড়ায়। তাকে প্রশ্ন করেন, অ, আ এর বই টা পড়ছে কিনা। সালু জানায়, রাতে তার ঘরে বাতি থাকে না কি করে পড়বে..? আর দিনে কত কাজ! এক লোকে প্রশ্ন করে "তুই আকাশের দিকে তাকিয়ে কি দেখছ?" সালু বলে কত কিছু! তার এভঙ্গিতে কথা বলা শুনে সবাই হেসে উঠে।
গবিন্দপুর গ্রাম টা খুব সাধারণ একটা গ্রাম। সীমান্তের খুব কাছে বলে এখানে ভারতীয় জিনিস পাওয়া যায়। তবে এখানে প্রাকৃতিক ভাবে একটা হ্রদ আছে । সবাই বলে "জীনের হদ"। এলাকার মানুষ এর মতে এটা জীনের বাদশাহর হাতে বানানো। এবং সে থাকে কোহকাফা নগরে। এ হ্রদের পানি খেলে সব রোগ সেরে যায় বলে ধারনা। আসল কথা জানেন শুধু ভূগোল শিক্ষক বদি মাস্টর কিন্তু তা কেউ মানতে নারাজ।
গ্রামের মৌলবী বাড়িতে বেড়াতে এসেছে আদনান শফি। এখানে তার বন্ধু হাবীব এর বাড়ি। সে গ্রামের বাজারে ঘুরে মাছ কিনে। আর তখন হাড়জিরজিরে সালুকে দেখতে পায়। মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় সালু জানতে চায় আদনান মাছ গুলো কাটিয়ে নিবে কিনা, যদি কাটায় তবে তার বোনে কেটে দিবে। কেজিতে দশ টাকা। তার আগ্রহী চোখ দেখে আদনান আর না করতে পারে নি। পলিথিন হাতে সালু দৌড়ে যায়, তার বোনকে দিয়ে মাছ গুলো কাটিয়ে আনে। আদনানের ছেলেটাকে ভালো লাগে। তার মাছ আনা দেখে হাবীব অবাক হয়। হাবীব এর বাড়িতে তার এক চাচাত বোন আছে তার নাম হলো পারভীন। এরাই হলো উপন্যাসের চরিত্র। তবে আরো আছে গ্রামের মোড়ল। গল্পটা এদের সবার।
গ্রামের মৌলবী বাড়িতে বেড়াতে এসেছে আদনান শফি। এখানে তার বন্ধু হাবীব এর বাড়ি। সে গ্রামের বাজারে ঘুরে মাছ কিনে। আর তখন হাড়জিরজিরে সালুকে দেখতে পায়। মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় সালু জানতে চায় আদনান মাছ গুলো কাটিয়ে নিবে কিনা, যদি কাটায় তবে তার বোনে কেটে দিবে। কেজিতে দশ টাকা। তার আগ্রহী চোখ দেখে আদনান আর না করতে পারে নি। পলিথিন হাতে সালু দৌড়ে যায়, তার বোনকে দিয়ে মাছ গুলো কাটিয়ে আনে। আদনানের ছেলেটাকে ভালো লাগে। তার মাছ আনা দেখে হাবীব অবাক হয়। হাবীব এর বাড়িতে তার এক চাচাত বোন আছে তার নাম হলো পারভীন। এরাই হলো উপন্যাসের চরিত্র। তবে আরো আছে গ্রামের মোড়ল। গল্পটা এদের সবার।
এসমগ্রের শেষ উপন্যাস গল্পটার নাম শাদা অন্ধকার। এই উপন্যাসে চরিত্র গুলো হলো- আসাদ, মকবুল, জামিল, লীনা, রাকিব, সারোয়ার এর মতো কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র। যদি মূল চরিত্র বলা যায় সে হলো আসাদ, জেল ফেরত খুনী আসামী। অবশ্য খুন টা সে ইচ্ছা করে করেনি। নিজেকে বাচাঁতে করেছে। "জামাই" এর চা স্টল থেকে ফিরছিল আসাদ আর জামিল। ঠিক তখনি হামলা। জামিলকে মেরে ফেলে যখন ওর দিকে বন্দুক তাক করলো তখন সে নিজেই মেরে দিল। সাথে সাথে লোকটা মরে গেল। তার পায়েও বেশ জখম হয়েছিল। খুনীর শাস্তি হিসেবে জেল হলো এবং পায়ের আঘাতটার জন্য পা কেটে নেওয়া হলো।
কিন্তু ওই যে বিনা অপরাধে জেল। এ থেকেই বিক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছিলো আসাদের মন। জেল থেকে ছাড়া পেলেও মনের অন্ধকার জগৎ থেকে ছাড়া পায় নি। আর সেখান থেকে শেষ অবাধি কি হয়েছিলো তা পাঠক ই ভালো জানেন।
রাকিব এর সাথে লীনার পরিচয় টা হুট করে হয়ে যায়। রাকিব ছাত্রনেতা।পরিচয় এর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব ঝামেলা হচ্ছিল। আর এসবের মাঝেই তাদের সম্পর্ক শুরু হয়। আসাদ রাকিবের বন্ধু। লীনা একেবারেই আসাদ কে দেখতে পারে না।লীনা আর রাকিবের সম্পর্কটাও কোথায় গিয়ে দাড়িয়ে ছিলো তাও একটা মূল বিষয় উপন্যাসে।
রাকিব এর সাথে লীনার পরিচয় টা হুট করে হয়ে যায়। রাকিব ছাত্রনেতা।পরিচয় এর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব ঝামেলা হচ্ছিল। আর এসবের মাঝেই তাদের সম্পর্ক শুরু হয়। আসাদ রাকিবের বন্ধু। লীনা একেবারেই আসাদ কে দেখতে পারে না।লীনা আর রাকিবের সম্পর্কটাও কোথায় গিয়ে দাড়িয়ে ছিলো তাও একটা মূল বিষয় উপন্যাসে।
আহসান হাবীবকে চিনি রম্য লেখক হিসেবে তার পাচঁটি উপন্যাস নিয়ে এই "অন্য কেউ" বইটি। বাকি তিনটা উপন্যাস হলো -আশ্চর্য জীবন, সমুদ্রের ডাক ও কেওক্রাডং।
অন্যকেউ উপন্যাসে লেখক প্রতিটি মানুষের মাঝে অন্য একজন বাস করে বলেই দেখিয়েছেন।কিছুটা দার্শনিক টাইপ। তা ছাড়া এই গল্পে বদি মাস্টারের একটা রুল আছে বেশ। মোড়ল বা সালুকেও বাদ দেওয়া যায় না। আবার শাদা অন্ধকার গল্পে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীদের যে রকম আনাগোনা এটা লেখক তুলে ধরেছেন। তাতে মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর যে কি রকম হাত আছে বা থাকে, তাও একটা ভাববার বিষয়। একসময় মানুষ গুলো তাদের হাতের পুতুল হয়ে যায়। দাবার গুটি উল্টাতে সময় লাগে না। এই উপন্যাস টা লেখকের ছাত্র জীবনে লেখা প্রথম উপন্যাস।
আহসান হাবীব ব্যাংকার হিসেবে পেশা শুরু করলেও, কার্টুনিস্ট হিসেবে পেশা বদল করেন। বর্তমানে উম্মাদ ও ট্রাভেল এন্ড ফ্যাশন এর সম্পাদক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন