লেখক-রকিব হাসান
ধরন-সায়েন্সফিকশন
পৃষ্ঠা-১৬০
মূল্য-৫০
কথামালা প্রকাশনী।
ধরন-সায়েন্সফিকশন
পৃষ্ঠা-১৬০
মূল্য-৫০
কথামালা প্রকাশনী।
ওরা পাঁচ বন্ধু, পাঁচ যোদ্ধা। ক্যাপ্টেন নিমো, ফাইটার জামবু, পাইলট জিউস, মডেল তিয়ানো, ওয়ার্ডেন সিসি। এই সব গুলো নাম ছদ্মনাম। পদবিগুলোও নিজেদের নেওয়া। তাদের আসল ঠিকানা দেওয়া হয়নি নিরাপত্তার কারনে। তবে তারা কোন কোন দেশের তা বলেছে। যদিও এতে অনেক পরিচয় ফাঁস হবার ভয় ছিল। নিমো বাংলাদেশি, তিয়ানা রাশিয়ান, জামবু আফ্রিকান, সিসি আমেরিকান, আর জিউস যে কোন দেশের তা তারা নিজেরাও জানে না। কেন না জিউস একসময় মানুষ ছিলো, কিন্তু এখন বাঁজপাখি হয়ে গেছে। কিভাবে এবং কেন তাও একটা ইতিহাস।
মহকাশ থেকে আসা পিশাচ ভারেকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে তারা। ভারকরা হলো এমন, তারা থাকে মহাকাশের অনেক দূরে একটা গ্রহে। ভীষন কুটিল, শয়তান, আর অতি বুদ্ধিমান এক প্রজাতির প্রানী। যাদের দেহ বলতে কিছু নেই, আছে শুধু মগজটা। ভারড্রোনা নামে এক ধরনের রাসায়নিক তরলের ডোবায় ওই পিশাচ গুলোর জন্ম। ওই ডোবা গুলোর নাম ভাডো অর্থাৎ ভারেক ডোবা। ভারডোনা থেকে খাদ্যপ্রান শুষে নিয়ে বেঁচে থাকে ভারেকরা। চলাফেরার জন্য তাদের প্রয়োজন হয় অন্য প্রানীর দেহ। কানের ছিদ্র দিয়ে খুলিতে ঢুকে যায়। যে প্রানীর মাথায় এরা ঢুকে, তার মগজটাকে আবদ্ধ করে নিয়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশেয়ে ফেলে নিজেদের।তখন প্রানীটার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। প্রানীটার মন টাকেও দখলে নিয়ে আসে। এমন কি প্রানীটার চোখ দিয়ে দেখে। কান দিয়ে শোনে। দেহের সব গুলো অঙ্গ নিজের মতো ব্যবহার করে। প্রানীটা কি চিন্তা করছে তাও তারা জেনে যায়। তখন আর প্রানীটার পক্ষে বাধা দেওয়া সম্ভব হয় না। আস্তে আস্তে সে গোলামে তৈরি হয়।সব বোঝে সব দেখে কিন্তু নিজের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কিছু করতে পারে না।
ভারেকদের এই মগজ দখলকারীর নাম হয়ে যায় তখন ভারেক চালক।
ভারেকদের এই মগজ দখলকারীর নাম হয়ে যায় তখন ভারেক চালক।
পৃথিবীর এখন ভীষণ বিপদ! মানুষকে সাবধান করার জন্য এই পাঁচ যোদ্ধা মাঠে নেমেছে। মানুষ যেন তাদের প্রতিরোধ করতে পারে , নিজের গ্রহটাকে বাঁচাতে চেষ্টা করে। অন্তত ততোদিন, যতোদিন জিথারিয়ানরা না আসে।
জিথারিয়ানরাও ভিনগ্রহবাসী। বহুদূরের জিথার গ্রহের অতি বুদ্ধিমান প্রানী। ভারেক দের শত্রু। মহাকাশে অসংখ্য গ্রহ দখল করে রেখেছে ভারেকরা। কিন্তু জিথারদের গ্রহের সাথে পারেনি। মাঝে মাঝেই লড়াই হয় দুদলের মাঝে। এমনি একটা যুদ্ধে আহত হয়ে এক জিথারিয়ান যোদ্ধা পৃথিবীতে এসে পড়ে । নাম তার "প্রিন্স নরখান বরিমাউল ফুকটুন"। তার সঙ্গে দেখা হয় এই পাঁচ যোদ্ধার। তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে অনেক কিন্তু পারেনি। কারন ভারেকদের নেতা ভিকুন থ্রী বিশাল দৈত্য হয়ে তাকে গিলে নিয়েছে।
জিথারিয়ানরাও ভিনগ্রহবাসী। বহুদূরের জিথার গ্রহের অতি বুদ্ধিমান প্রানী। ভারেক দের শত্রু। মহাকাশে অসংখ্য গ্রহ দখল করে রেখেছে ভারেকরা। কিন্তু জিথারদের গ্রহের সাথে পারেনি। মাঝে মাঝেই লড়াই হয় দুদলের মাঝে। এমনি একটা যুদ্ধে আহত হয়ে এক জিথারিয়ান যোদ্ধা পৃথিবীতে এসে পড়ে । নাম তার "প্রিন্স নরখান বরিমাউল ফুকটুন"। তার সঙ্গে দেখা হয় এই পাঁচ যোদ্ধার। তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে অনেক কিন্তু পারেনি। কারন ভারেকদের নেতা ভিকুন থ্রী বিশাল দৈত্য হয়ে তাকে গিলে নিয়েছে।
বহু কষ্টে পালিয়েছে এই পাঁচ যোদ্ধা। ভাগ্য ভালো ছিলো ভারেক রা তাদের চিনতে পারেনি। ভারেক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য মৃত্যুর আগে এক ভয়ানক ক্ষমতাশালী অস্র উপহার দিয়ে যায় ফুকটুন নিমোদের। এটা দিয়ে যে কোন প্রানীর গা ছুঁয়ে, তার ডিএন এ সংগ্রহ করে সেই প্রানীতে রূপান্তরিত হওয়া যায়। কিন্তু কাহিনী হচ্ছে দুই ঘন্টার বেশি, সে রুপে থাকা যায় না। তাহলে চিরকালের জন্য সে রূপে আবদ্ধ হয়ে যেতে হবে। কোন দিন মানুষ রূপে আসা সম্ভব নয়।
এরকম যখন পরিস্থিতি, এই কঠিন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে একজন কে ক্যাপ্টেন বানায়। এবং বাকিরা তাকে নেতা মেনে নেয়। পৃথিবীর এই দূর্যোগে ঝাপিয়ে পরে তারা । একটি মাত্র অস্র তাদের । তাদের পক্ষে কি সম্ভব হয়ে ছিলো এই পিশাচ দের হাত হতে তাদের নিজেদের গ্রহটাকে বাঁচাতে?
নাকি তাদেরও অবস্থা হয়েছিলো যাদের কে ভারেক দখল করে নিয়েছে তাদের মতো। কি করেই বা তা যুদ্ধে নেমেছিলো..তাও একটা বড় রকম ঘটনা।
নাকি তাদেরও অবস্থা হয়েছিলো যাদের কে ভারেক দখল করে নিয়েছে তাদের মতো। কি করেই বা তা যুদ্ধে নেমেছিলো..তাও একটা বড় রকম ঘটনা।
ভিনগ্রহের পিশাচ, রকিব হাসানের অন্যতম সায়েন্সফিকশন। এই একটা দল, যাতে পাঁচ জন দলের সদস্য। তাদের নেতা নিমো। তারা ভিনগ্রহের প্রানীদের সাথে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
সায়েন্সফিকশন এর বিশাল ভক্ত না হলেও, বই গুলোর প্রতি আকর্শন বোধ করি। আর নিমো জিউসদের নিয়ে লেখা রকিব হাসানের এই বই গুলো আমার কাছে বেশ মজার। অবশ্যই ভালো লেগেছে। এই ভারক আর পাঁচ যোদ্ধার কাহিনী নিয়ে আরো দুইটা কাহিনী পড়া হইছে আমার। সে গুলো হলো নীল যোদ্ধা আর ভারেকের থাবা। তিনটা মিলে একটা সমগ্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন