লেখক-সেতিল বিয়োর্নস্তা
অনুবাদ-আনিস পারভেজ
ধরন-উপন্যাস
পৃষ্ঠা-১৭০
মূল্য-১৬৫
সন্দেশ প্রকাশনা
...
একটা ছেলে মিঠু বড়ুয়া। আছে বিচারক এর কাঠগোড়ায়। তাকে দাড়াতে বলা হল। কিন্তু সে দাড়াবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধান্বিত।তার জন্মদিন জানা নেই এ নিয়ে বিচারকের কটুক্তি। নরওয়েজীয়ান কারাগারে তার জীবন এখন থমকে গেছে। একদিন এক লেখক এলো তারর সাথে দেখা করতে। সে প্রকাশ করলো নিজের ইতিহাস সেই লেখকের কাছে।
আর তা নিয়েই নদের সৃষ্টি।
মিঠু বড়ুয়া বাংলাদেশী। যার সমস্ত শৈশব কেটেছে ভয়ে। কেন না তখন কার সময় চট্টগ্রামে প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঘনঘটা। তাতে ঠিকতে না পেরে ঢাকায় চলে আসে তাদের পরিবার। সেখানে বাবা গোপাল জিয়া এয়ারপোর্টের পোর্টার, বড় বোন অনামিকার তখন ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা।হঠাৎ একদিন স্মগলার রা মিঠুর বাবা কে মেরে ফেলে। বোন অনামিকা কে হারিয়ে ফেলে ইয়াসমিন হত্যার মিছিল থেকে।একা অসহায় এক বালক। ক্ষুধায় তার সঙ্গী হয় কুকুর। তারা দুজনে খাবার খায় ডাস্টবিন থেকে। এক সময় দেখা যায় তাকে নরওয়েগামী হতে। জীবন হয়তো মোড় নিতে পারতো। আদৌ কি নিয়েছিল..?
নদে বাংলা করলে দাড়ায় "দয়া"। নরওয়েজীয়ান লেখক সেতিল বিয়োর্নস্তার বাংলাদেশের পটভূমিতে লেখা উপন্যাস। বাংলাদেশের প্রকৃতি, জীবন সংগ্রাম, রাজনীতির কালের ইতিহাস। এর ভেতরে একটা দরিদ্র কিন্তু উজ্জল বালকের বড় হয়ে ওঠার সংগ্রাম এবং এ সংগ্রামে প্রতিকূল হাওয়ায় বিপন্ন এক চরিত্রের চিৎকার এর অনুবাদ এই "নদে"
লেখা হয়েছে নরওয়েজীয়ান ভাষায়।
বাংলাদেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী তো বরাবরই নিজস্ব ঠিকানা থেকে উৎখ্যাত হয়ে একস্থান হতে অন্য স্থানে পরিবর্তিত হয়েছে। হউক সেটা অভ্যন্তরীন হউক বাহ্যিক। তারই একটা চিত্র লেখক এখানে তুলে ধরেছেন। মিঠুর জীবন থেকে দেশ নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।কিভাবে সে যুদ্ধে জড়ায়, কিভাবে ব্যাংককের ট্যুরিস্টরা মিঠুর দেহ ক্ষতবিক্ষত করে দেয়..?
"নদের" শেষে থাকে এক যতিচিহ্ন, যার মাঝে মিঠু ও পাঠক দুজনেই জীবনের মানে খুজে। একে বলা যায় এক করুন আত্নজীবনী।এতে ধরা পড়েছে বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি, রাজনৈতিক ধোকা, অস্থির চট্টগ্রাম ও ইয়াসমিন হত্যা, যুদ্ধের নির্মমতা! আর কত শত লোকের ঘরছাড়ার হাহাকার। মূলত পাঠক বইয়ের পৃষ্ঠায় নিজের চোখে দেখে আসবে, মানুষ কতো নির্মম। আর অাসহায় মানুষ গুলো কতো নির্যাতিত!
শেষের দুই পৃষ্ঠার এপিলোগ পাঠকের চোখ কে শীতল করে দিবে!
"ওটাই আমার জগৎ যেটা নির্ধারিত। যে মহাতাড়না আমাকে একদিন ঘূর্ণনে ফেলেছিল, তার সমাপ্তি হয়েছে। "
আনিস পারভেজ এর অনুবাদ বেশ ভালো ছিলো। নরওয়েজীয়ান ভাষা থেকে এটা অনূদিত হয়েছে।
একজন নরওয়েজীয়ান এর চোখে লিখিত বাংলাদেশ।
সেতিল বিয়োর্নস্তা ইউরোপের দিকনির্দেশক কম্পোজার ও পিয়ানো বাদক এবং নরওয়ের প্রধানতম লেখক। দেশ তাকে সম্মানিত করেছে "সহস্রাব্দের কম্পোজার" হিসাবে। নদে তার ২৪ তম উপন্যাস। যার পটভূমি বাংলাদেশ।শৈশবে অনুবাদে রবীন্দ্রনাথ কে পড়তে গিয়ে তার চোখ ভিজেছে বারবার। বাংলাদেশে এসেছে সে অনেকবার।আর চোখে দেখা সেই দৃশ্যপট থেকে তৈরি করেছে এই উপন্যাস। নদে উত্তর ইউরোপের ভাষায় প্রথম এবং একমাত্র উপন্যাস বাংলাদেশ কে নিয়ে।
অনুবাদ-আনিস পারভেজ
ধরন-উপন্যাস
পৃষ্ঠা-১৭০
মূল্য-১৬৫
সন্দেশ প্রকাশনা
...
একটা ছেলে মিঠু বড়ুয়া। আছে বিচারক এর কাঠগোড়ায়। তাকে দাড়াতে বলা হল। কিন্তু সে দাড়াবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধান্বিত।তার জন্মদিন জানা নেই এ নিয়ে বিচারকের কটুক্তি। নরওয়েজীয়ান কারাগারে তার জীবন এখন থমকে গেছে। একদিন এক লেখক এলো তারর সাথে দেখা করতে। সে প্রকাশ করলো নিজের ইতিহাস সেই লেখকের কাছে।
আর তা নিয়েই নদের সৃষ্টি।
মিঠু বড়ুয়া বাংলাদেশী। যার সমস্ত শৈশব কেটেছে ভয়ে। কেন না তখন কার সময় চট্টগ্রামে প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঘনঘটা। তাতে ঠিকতে না পেরে ঢাকায় চলে আসে তাদের পরিবার। সেখানে বাবা গোপাল জিয়া এয়ারপোর্টের পোর্টার, বড় বোন অনামিকার তখন ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা।হঠাৎ একদিন স্মগলার রা মিঠুর বাবা কে মেরে ফেলে। বোন অনামিকা কে হারিয়ে ফেলে ইয়াসমিন হত্যার মিছিল থেকে।একা অসহায় এক বালক। ক্ষুধায় তার সঙ্গী হয় কুকুর। তারা দুজনে খাবার খায় ডাস্টবিন থেকে। এক সময় দেখা যায় তাকে নরওয়েগামী হতে। জীবন হয়তো মোড় নিতে পারতো। আদৌ কি নিয়েছিল..?
নদে বাংলা করলে দাড়ায় "দয়া"। নরওয়েজীয়ান লেখক সেতিল বিয়োর্নস্তার বাংলাদেশের পটভূমিতে লেখা উপন্যাস। বাংলাদেশের প্রকৃতি, জীবন সংগ্রাম, রাজনীতির কালের ইতিহাস। এর ভেতরে একটা দরিদ্র কিন্তু উজ্জল বালকের বড় হয়ে ওঠার সংগ্রাম এবং এ সংগ্রামে প্রতিকূল হাওয়ায় বিপন্ন এক চরিত্রের চিৎকার এর অনুবাদ এই "নদে"
লেখা হয়েছে নরওয়েজীয়ান ভাষায়।
বাংলাদেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী তো বরাবরই নিজস্ব ঠিকানা থেকে উৎখ্যাত হয়ে একস্থান হতে অন্য স্থানে পরিবর্তিত হয়েছে। হউক সেটা অভ্যন্তরীন হউক বাহ্যিক। তারই একটা চিত্র লেখক এখানে তুলে ধরেছেন। মিঠুর জীবন থেকে দেশ নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।কিভাবে সে যুদ্ধে জড়ায়, কিভাবে ব্যাংককের ট্যুরিস্টরা মিঠুর দেহ ক্ষতবিক্ষত করে দেয়..?
"নদের" শেষে থাকে এক যতিচিহ্ন, যার মাঝে মিঠু ও পাঠক দুজনেই জীবনের মানে খুজে। একে বলা যায় এক করুন আত্নজীবনী।এতে ধরা পড়েছে বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি, রাজনৈতিক ধোকা, অস্থির চট্টগ্রাম ও ইয়াসমিন হত্যা, যুদ্ধের নির্মমতা! আর কত শত লোকের ঘরছাড়ার হাহাকার। মূলত পাঠক বইয়ের পৃষ্ঠায় নিজের চোখে দেখে আসবে, মানুষ কতো নির্মম। আর অাসহায় মানুষ গুলো কতো নির্যাতিত!
শেষের দুই পৃষ্ঠার এপিলোগ পাঠকের চোখ কে শীতল করে দিবে!
"ওটাই আমার জগৎ যেটা নির্ধারিত। যে মহাতাড়না আমাকে একদিন ঘূর্ণনে ফেলেছিল, তার সমাপ্তি হয়েছে। "
আনিস পারভেজ এর অনুবাদ বেশ ভালো ছিলো। নরওয়েজীয়ান ভাষা থেকে এটা অনূদিত হয়েছে।
একজন নরওয়েজীয়ান এর চোখে লিখিত বাংলাদেশ।
সেতিল বিয়োর্নস্তা ইউরোপের দিকনির্দেশক কম্পোজার ও পিয়ানো বাদক এবং নরওয়ের প্রধানতম লেখক। দেশ তাকে সম্মানিত করেছে "সহস্রাব্দের কম্পোজার" হিসাবে। নদে তার ২৪ তম উপন্যাস। যার পটভূমি বাংলাদেশ।শৈশবে অনুবাদে রবীন্দ্রনাথ কে পড়তে গিয়ে তার চোখ ভিজেছে বারবার। বাংলাদেশে এসেছে সে অনেকবার।আর চোখে দেখা সেই দৃশ্যপট থেকে তৈরি করেছে এই উপন্যাস। নদে উত্তর ইউরোপের ভাষায় প্রথম এবং একমাত্র উপন্যাস বাংলাদেশ কে নিয়ে।